পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক, ভ্রান্ত ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিষিদ্ধ হওয়া চ্যানেলগুলোর মধ্যে সাবেক পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে।  

নিষিদ্ধের তালিকায় ডন নিউজ, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ এবং জিও নিউজের মতো বড় সংবাদমাধ্যমগুলোর নামও রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় শোয়েব আখতারের চ্যানেল মূলত ক্রিকেট বিশ্লেষণ ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে কনটেন্ট প্রকাশ করত। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে সতর্কতার অংশ হিসেবেই তার চ্যানেলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতীয় সরকারের দাবি, এসব ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভারতবিরোধী মনোভাব ছড়ানো হচ্ছিল, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়া হচ্ছিল। পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত শোয়েব আখতার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তার ইউটিউব চ্যানেল ভবিষ্যতে ভারতে পুনরায় চালু হবে কি না, সেটিও অনিশ্চিত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় ব আখত র শ য় ব আখত র

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ