নারায়ণগঞ্জে ৩০ স্কুলে চালু হলো ‘মিড ডে মিল’
Published: 29th, April 2025 GMT
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে এবং ঝরে পড়ার হার কমানোর লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ১১৩টি স্কুলে ‘মিড ডে মিল’ চালু করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) প্রথম পর্যায়ে ৩০টি স্কুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমানের উদ্যোগে মিড ডে মিলের আয়োজন করা হয়।
মিড ডে মিল চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। অভিভাবকরাও এমন উদ্যোগ নেওয়ায় ইউএনওকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার হ্রাস পাবে এবং তারা পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে পারবে।”
আরো পড়ুন:
এবার সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
স্কুলের মাঠে বসানো হচ্ছে মরিচের হাট
ইউএনও ফারজানা রহমান বলেন, “উপজেলার ১১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩০টি বিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় এ কার্যক্রমকে স্থায়ী রূপ দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এই উদ্যোগ।”
তিনি আরো বলেন, “মিড ডে মিল চালুর পাশাপাশি প্রতিটি বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য স্কুলের আঙিনায় ফুলের বাগান করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৩০টি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম দৃশ্যমান। এসব কার্যক্রম আমি নিজে থেকেই উদ্বোধন করেছি। আমি চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুরা যেনো আনন্দ মুখর পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের উন্নয়নে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে পারে।”
ঢাকা/অনিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব