‘মরণ রাস্তার মোড়ে’ সড়ক দুর্ঘটনা, বিক্ষোভ
Published: 29th, April 2025 GMT
চারটি বড় সড়ক মিলিত হয়েছে একস্থানে। জায়গাটির নাম ‘বারো রাস্তার মোড়’। ঘন ঘন দুর্ঘটনার জন্য স্থানীয়রা এটির নাম দিয়েছেন ‘মরণ রাস্তার মোড়’। সম্প্রতি ‘মরণ রাস্তার মোড়’ লিখে সেখানে ব্যানারও টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এই মোড়ে আবারো দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর পরপরই স্থানীয়রা সড়কটি অবরোধ করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা সড়কে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ চলাকালে স্থানীয়রা সড়কটির কিছু অংশ খুঁড়ে ফেলেন। পরে রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে দেন তারা। সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যান তারা। স্থানীয়রা সেখানে গোলচত্বর নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
স্থানটি নগরের চন্দ্রিমা থানার খুব পাশেই। ক্ষুব্ধ জনতাকে সরাতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। বারো রাস্তার মোড়ে দ্রুতই গোলচত্বর নির্মাণের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ লোকজন সড়ক ছাড়েন।
আরো পড়ুন:
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসচাপায় নিহত ১
নড়াইলে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, শিশু নিহত
আজ বিকেলে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুত্বর আহত হন মো.
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান বলেন, “রাস্তা এখন ক্লিয়ার আছে। আমরা ক্ষুব্ধ জনতাকে বুঝিয়ে সরিয়েছি। সেখানে আসলেই গোলচত্বর নির্মাণ প্রয়োজন। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বিষয়টি সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে। তারা এটা করতে চেয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “ওই রাস্তার মোড়টি এমন যে বড় কোনো যানবাহন ছোট যানবাহনকে দেখতেই পায় না। দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আবার সেখানে যতটা ধীরে গাড়ি চালানো উচিত, চালকেরা তা করেন না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আজ দুর্ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে গেছে। স্থানীয়রাও বাসটিকে শনাক্ত করতে পারছেন না। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে চেনা যাবে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাসটিকে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর
শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক ফেনী শহরের ব্যস্ততম রাস্তা। এই সড়কের পাশেই শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা। একটু ভারী বৃষ্টিতেই ডুবে যায় সড়কটি। গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় সড়কের দুই কিলোমিটার অংশ কোমরপানিতে তলিয়ে ছিল পাঁচ দিন। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে খানাখন্দ তৈরি হয়। পানি নেমে যাওয়ার পর পাথর ও ইটের সুরকি দিয়ে অস্থায়ী মেরামত করা হলেও স্থায়ী সংস্কার হয়নি। এ বছর বর্ষায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় আরও বেহাল হয়েছে সড়কটির দশা। ছোট ছোট গর্তে ভরা এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলে ধীরগতিতে। ফলে সড়কে যানজট লেগেই থাকে।
পৌর শহরের এই প্রধান সড়কে তা–ও যানবাহন চলে কোনোরকমে। শহরের অলিগলি আর অভ্যন্তরীণ সড়কের দশা এর চেয়ে অনেক বেহাল। শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক থেকে একটু এগোলে হাসপাতাল মোড় থেকে সালাহ উদ্দিন মোড় পর্যন্ত যে সড়কটি রয়েছে, তাতে আগাগোড়াই বড় বড় খানাখন্দ। সড়কটির সাহেববাড়ি অংশে বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় ইট দিয়ে সাময়িক মেরামত করলেও ছোট-বড় গাড়ির চাকা সেসবকে স্থায়ী হতে দেয়নি। এটিসহ পৌরসভার ছোট-বড় প্রায় ৩০টির বেশি সড়ক এখনো বন্যার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। ২০২৪ সালের বন্যার এক বছর পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর দৃশ্যমান কোনো সংস্কার হয়নি। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের কাজ অচিরেই শুরু হবে।
একসময়ের ছিমছাম ও সাজানো ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর। খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোতে গাড়ি চলে হেলেদুলে। হালকা বৃষ্টিতেও প্রায় সব সড়কে পানি জমে যায়। পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে। অধিকাংশ সড়কের পিচঢালাই উঠে যাচ্ছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক শহরকে যেমন শ্রীহীন করেছে, তেমনি বাড়িয়েছে জনদুর্ভোগ।
সরেজমিন ঘুরে শহরের পাঠানবাড়ি সড়ক, মাস্টারপাড়া মুন্সিবাড়ি সড়ক, কদল গাজী সড়ক, বিরিঞ্চি প্রাইমারি স্কুল সড়ক, বিরিঞ্চি রতন সড়ক, সুলতানপুর আমির উদ্দিন সড়ক, গাজী ক্রস রোড, সুফি সদর উদ্দিন সড়ক, আবু বক্কর সড়ক, শহীদ ওবায়দুল হক সড়ক, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি সড়ক, চাড়িপুর মৌলভী আব্দুস সালাম সড়ক, উত্তর চারিপুর বাইতুশ শরিফ সড়ক, পূর্ব বিজয় সিং ছোট হুদা দিঘি সড়ক, মধুপুর মালেক মিয়া বাজার সড়কের বেহাল দশা দেখা গেছে। সব মিলিয়ে ৩০টি সড়কের সব কটিই এখন বেহাল।
একসময়ের ছিমছাম ও সাজানো ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর। খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোতে গাড়ি চলে হেলেদুলে। হালকা বৃষ্টিতেও প্রায় সব সড়কে পানি জমে যায়। পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে। অধিকাংশ সড়কের পিচঢালাই উঠে যাচ্ছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক শহরকে যেমন শ্রীহীন করেছে, তেমনি বাড়িয়েছে জনদুর্ভোগ।ফেনী পৌরসভায় ইজিবাইক চালান সুজাউদ্দিন। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে অন্য অনেকের চেয়ে তাঁকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে জানিয়েছেন। ফেনীর শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে সম্প্রতি সুজাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয়। কথায় কথায় তিনি বলেন, ছোট-বড় গর্ত থাকায় অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে প্রতিনিয়ত গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় যাত্রীরা গাড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার দশা হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় ভাড়াও কমেছে তাঁর।
শাহিন একাডেমি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম শহরের সড়কগুলোর ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সড়কের পাশে পর্যাপ্ত নালা নেই। এ কারণে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে। বাড়ির সামনের সড়কের এই হাল হলে আর কাজকর্ম করতে ইচ্ছা হয় না।
ফেনী পৌরসভার বিসিক–মুক্তার বাড়ি সড়কের মাঝে এমন বড় বড় খানাখন্দ