আর্সেনালকে তাদের মাঠে হারিয়ে ফাইনালের পথে পিএসজি
Published: 30th, April 2025 GMT
এমিরেটস স্টেডিয়ামে ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের দুর্দান্ত রেকর্ড। তবে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে সেই দুর্গে আঘাত হানল প্যারিস সাঁ জার্মেই (পিএসজি)। উসমান দেম্বেলের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে রাখল ফরাসি জায়ান্টরা।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজি। ম্যাচের মাত্র চতুর্থ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন দেম্বেলে। তার দূরপাল্লার শটে কোনো সুযোগই ছিল না গোলরক্ষকের। প্রথমার্ধজুড়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করেছে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। তবে গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বুকায়ো সাকা ও গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। ফলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় অতিথিরা।
বিরতির পর গোল পেয়েও হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। ডেকলান রাইসের পাস থেকে মিকেল মেরিনোর হেড গোলে পরিণত হলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেই গোল। এরপর ৫৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভে আর্সেনালকে আবারও হতাশ করেন পিএসজি গোলরক্ষক দোনারুম্মা।
শেষদিকে আর্সেনাল যেমন সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয়, তেমনি বার্কোলা ও গঞ্জালো রামোসের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হওয়ায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি পিএসজি। তবে এক গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।
আগামী ৮ মে ফিরতি লেগে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেদিনই নির্ধারিত হবে কারা পা রাখবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর স ন ল প এসজ আর স ন ল ফ ইন ল প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।