রেফারিকে বরফ ছুঁড়ে মেরে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ রুডিগার
Published: 30th, April 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদের জন্য সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। মাঠ ও মাঠের বাইরে কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন লস ব্ল্যাঙ্কসরা। তারা চ্যাম্পিয়নস লিগেরে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে বাদ পড়ে। এরপর শনিবার (২৬ এপ্রিল) কোপা দেল রে’র ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হেরে বসে।
এই ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে একটা সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে রেফারির দিকে তেড়ে যেতে চান রিয়ালের ডিফেন্ডার অ্যান্তোনিও রুডিগার। বেঞ্চের বাকিরা মিলে তাঁকে থামায়। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইফ) এমন আচরণের জন্য জার্মান ডিফেন্ডারকে ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে। আরএফইফের আচরণবিধির ১০১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রেফারিকে কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করার সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ১২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার খড়গও আসতে পারত রুডিগারের উপর।
একই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখানো লুকাস ভাসকেসকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে রিয়ালের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড ব্যালিংহ্যামের লাল কার্ড প্রত্যাহার করে নিয়েছে আরএফইফ।
আরো পড়ুন:
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
বার্সার বিপক্ষে ফাইনালের আগে রিয়ালের শঙ্কা সাম্প্রতিক ফর্ম
রেফারি রিকার্দো দে বুরহোসের তার রিপোর্টে লিখেন, “বদলি খেলোয়াড় রুডিগার ১২০তম মিনিটে টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুড়ে মারার কারণে লাল কার্ড দেখেন। তাকে শান্ত করতে দলের কোচিং স্টাফের অনেক সদস্যকে হস্তক্ষেপ করতে হয়, কারণ তিনি আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছিলেন।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে
চলতি বছরের শুরুতে ৪০ পেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তার পা যেন বয়সকে পাত্তাই দেয় না। ফুটবল মাঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উপস্থিতি মানেই উত্তেজনা, প্রত্যাশা আর গোলের গন্ধ। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। এক প্রীতি ম্যাচে ফরাসি ক্লাব তুলুজের বিপক্ষে দারুণ এক গোল করে দলকে জয় এনে দিলেন পর্তুগিজ তারকা।
অস্ট্রিয়ার আন্টার্সবার্গ-অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই গ্রীষ্মকালীন ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল সৌদি ক্লাব আল-নাসর। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ইয়ান বোহোর গোলে এগিয়ে যায় তুলুজ। কিন্তু খেলা তখনও শেষ হয়নি। কারণ, মাঠে ছিলেন রোনালদো।
৮ মিনিট পরই পাল্টা জবাব দেন আল-নাসরের ফরোয়ার্ড ওয়েসলি। প্রতিপক্ষের রক্ষণের ফাঁক গলে তার পাস পেয়ে বল জালে জড়ান রোনালদো, দারুণ এক ওয়ান টাচ ফিনিশে। সমতায় ফেরার পর আল-নাসরের খেলায় আসে নতুন ছন্দ।
আরো পড়ুন:
মেসির জাদুতে জয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামি, ডি পলের অভিষেকে উচ্ছ্বাস
মেসি বনাম ইয়ামাল: ফিনালিসিমার সময়সূচি ঘোষণা
দ্বিতীয়ার্ধে একাধিকবার সুযোগ তৈরি করেন রোনালদো। একটি সুযোগ তো প্রায় নিশ্চিত গোল হয়ে যেত, যদি না জোয়াও ফেলিক্সের সঙ্গে বোঝাপড়ায় সামান্য ভুল হতো। বাঁ দিক থেকে আসা ক্রসটিতে দুজনই একসঙ্গে পা লাগাতে গিয়ে গোলটা মিস করেন।
তবে ম্যাচে তার প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। একাধিকবার দূরপাল্লার শটে তুলুজ গোলরক্ষককে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন। শুধু গোলই নয়, তার দৌড়, পাস, আর শারীরিক ভাষা বুঝিয়ে দিচ্ছিল; তিনি থামার মতো কেউ নন।
৭৬তম মিনিটে মোহাম্মদ মারান দুর্দান্ত এক হেডে আল-নাসরের জয় নিশ্চিত করেন। নাওয়াফ বুশালের দুর্দান্ত ক্রসে ভেসে ওঠা হেডটি সোজা গোললাইনের ভেতর গিয়ে জড়ায়।
ম্যাচ শেষে রোনালদো ফেসবুকে নিজের ‘সিউ’ উদযাপনের ছবি পোস্ট করে লেখেন, “এই ক্ষুধা কখনোই শেষ হবে না। আমরা কেবল শুরু করেছি।” তার এই বার্তা যেন একধরনের হুঙ্কার, এক নতুন লড়াইয়ের ইঙ্গিত।
আল-নাসরে যোগ দেওয়ার পর বড় কোনো শিরোপা জেতা না গেলেও রোনালদো থেমে থাকেননি। গত মৌসুমে সব মিলিয়ে ৩৫টি গোল করেছেন ক্লাবটির হয়ে। এবার নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সাল পর্যন্ত আল-নাসরে থাকছেন। লক্ষ্য এবার আরও বড়; ট্রফি জয় এবং ক্যারিয়ারে ১০০০ গোলের ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করা।
আল-নাসরের পরবর্তী প্রীতি ম্যাচ আগামী ১০ আগস্ট, স্পেনের পাওয়ার হর্স স্টেডিয়ামে লা লিগার ক্লাব আলমেরিয়ার বিপক্ষে। আর মৌসুমের প্রথম বড় লড়াই শুরু ১৯ আগস্ট, সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনালে আল-ইত্তিহাদের বিপক্ষে। সেই লড়াইয়ের আগে রোনালদোর এই বার্তা একটাই— তাকে এখনো অনেক কিছু জিততে হবে!
ঢাকা/আমিনুল