কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করে ঝটিকা বিক্ষোভ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার কাজী নোমান আহমেদ কলেজসহ আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মী এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। তবে অনুমতি ছাড়া মিছিল করার অভিযোগে পুলিশ বাঁধা দিলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুরাদনগর উপজেলা সদরে কয়েক শ’ শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। ব্যানারে লেখা ছিল- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সচেতন জনগণ। এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মিছিলে বাধা দিলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নিচ্ছেন। 

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুরাদনগর উপজেলার সমন্বয়ক ওবাইয়দুল হক বলেন, ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন লেখা থাকলেও তাদের কেউ ছিল না। বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের নিজস্ব নোমান কলেজের শিক্ষার্থী। মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এর আগে গত মঙ্গলবার এই চক্রটি ঢাকায় আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনও করেছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এতে পুলিশ বাঁধা দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই নোমান আহমেদ কলেজের কিছু শিক্ষার্থী এসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিলের নেতৃত্ব দেয়। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে তাদের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। আমরা কৌশলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র পদত য গ দ ব ম র দনগর ন ত কর ম উপদ ষ ট ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ