গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ আওয়ামী লীগের রাজনীতি অস্বীকার করেছে
Published: 2nd, May 2025 GMT
গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে অস্বীকার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি অতিদ্রুত দলটির নিবন্ধন বাতিল এবং (গণহত্যার) বিচার চলাকালীন তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাহিদ ইসলাম।
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না, এই রায় দেশের জনগণ গত ৫ আগস্ট দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, জনরোষে ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতাদের দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করবে কি না, এই আলোচনাই আসতে পারে না।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, সংস্কার, নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিচার—কোনোটিই একে অন্যের বিরোধী নয়। তিনটির সমন্বয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব। তিনি আরও বলেন, মৌলিক সংস্কারের জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আসতে হবে। যে সংস্কারের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতার কাঠামো পরিবর্তন হতে পারে। তা না হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হবে না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন মানেই ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া নিয়ে বাংলাদেশে সব সময় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন এবং দলগুলোর নিজেদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি করতে হবে। তাঁর আশা, এবার শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি করা সম্ভব হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম র জন ত ক আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব