বাংলাদেশ-পাকিস্তানে স্টারলিংকের কার্যক্রম জানতে চায় ভারত
Published: 2nd, May 2025 GMT
ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থা স্টারলিংক বাংলাদেশ ও ভারতে কীভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে চায় ভারত। এই ইন্টারনেট সেবা ভারতেও চালু করার বিষয়ে কাজ হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবেশী দুই দেশে কোম্পানিটির কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে স্টারলিংকের আঞ্চলিক কার্যক্রম নিয়ে ভারত সরকারের উদ্বেগ বেড়েছে। ভারতের টেলিযোগাযোগ বিভাগের (ডিওটি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ভারতে কোনো কোম্পানিকে যোগাযোগ পরিষেবা দিতে হলে অনেকগুলো প্রযুক্তিগত জটিলতা পূরণ করতে হয়। পাকিস্তান গত মাসে স্টারলিংককে তাদের মহাকাশ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে একটি অস্থায়ী নিবন্ধন দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সরকার আশা করছে, স্টারলিংক ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটিতে কার্যক্রম শুরু করবে। এর বিপরীতে গত সপ্তাহেই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ স্টারলিংককে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স দিয়েছে। কোম্পানিটি শিগগির বাংলাদেশে পরিষেবা চালু করার অনুমতি পেয়েছে।
স্টারলিংক সম্প্রতি টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও ও ভারতীয় এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তিগুলো ভারতীয় স্যাটেলাইট যোগাযোগ খাতে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রবেশের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত মাসে সংবাদ সংস্থা পিটিআইর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড স্পেস সম্পর্কে বলেন, ভারত সব কোম্পানিকে স্বাগত জানায়। তিনি ওয়ান ওয়েব এবং জিও স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনসকে অনুমোদন দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেন।
ইলন মাস্ক এ বছর ভারত সফরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তাঁর বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থা টেসলাও ভারতের বাজারে প্রবেশের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সফরে নরেন্দ্র মোদি ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। গত সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে একটি ফোনালাপও হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স য ট ল ইট
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।