তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে রোববার গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। নগরীর শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ পর্যন্ত এই গণপদযাত্রায় নদীপারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেবেন। কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। 

শনিবার দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক নদী তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এর আগে বিভিন্ন সংগঠন তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে রোডমার্চ, মানববন্ধন, সমাবেশসহ স্তব্ধ কর্মসূচি পালন করেও বিগত সরকারের আমলে আশ্বাসের বাণী ছাড়া মেলেনি কিছু। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তাপারের মানুষজন ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দু’দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। 

‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচিতে পাঁচ জেলার ১১ স্থানে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাপনী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে সবগুলো পয়েন্টে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ব্যতিক্রমী এই কর্মসূচিতে পাঁচ জেলার লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন। কিন্তু তারপরও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন পর্যন্ত বিষয়টি আমলে নেয়নি। 

আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, দু’দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় ঘোষণা ছিল যতদিন তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না, ততদিন আন্দোলন চলবে। সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে রোববার গণপদযাত্রা কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু, বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদয ত র গণপদয ত র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে আষাঢ়ের ভারী বর্ষণে সড়কে পানি, পাহাড় ধসের শঙ্কা

আষাঢ়ের ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের কিছু কিছু এলাকায় পানি জমেছে। বুধবার ভোর রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত টানা মুষলধারে বৃষ্টি হতে থাকে। এতে নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে যায়। সকালে কর্মস্থলগামী লোকজন ভোগান্তিতে পড়েন। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী ৭২ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পতেঙ্গা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকালে জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৬৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। 

এমন ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, শুলকবহর, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, হালিশহর আবাসিক এলাকায় পানি জমেছে বলে জানা গেছে। এসব এলাকায় গোড়ালি থেকে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে। প্রায় আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত পানি জমে ছিল।

সকালে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম নগরের আমতল কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরের শুলকবহর ও মুরাদপুরসহ অন্তত তিন জায়গায় পানি জমে থাকতে দেখেছেন। 

সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেন, সকালে ভারী বর্ষণের সঙ্গে উচ্চ জোয়ার হওয়ায় কয়েকটি এলাকায় পানি জমেছিল। তবে তা অল্প সময়ের মধ্যে নেমে গেছে।

প্রসঙ্গত চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এরমধ্যে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বড় প্রকল্পটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ