ঢাকার কেরানীগঞ্জে সিসা গলানো কারখানার অ্যাসিডমিশ্রিত বর্জ্য বস্তায় ভরে বাড়ির সামনের সড়ক নির্মাণ করছেন এক ব্যক্তি। এতে এলাকায় তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার শাক্তা ইউনিয়নের আবদুস সালাম সড়কে ক্রাউন মেলামাইন কারখানার কাছে দীর্ঘদিন ধরে দুটি অবৈধ সিসা কারখানা চলছে। এসব কারখানায় গলানো ব্যাটারি থেকে নির্গত বর্জ্য কারখানার সামনের সড়কে ফেলে রাখেন। এক সপ্তাহ ধরে শাক্তা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম (৫৫) ওই বর্জ্য বস্তায় ভরে নিজ বাড়ির সামনে চলাচলের সড়ক তৈরি করছেন।

বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, আবুল কালামের বাড়ির সামনের সড়কে সাদা রঙের বস্তা সারি সারি করে সাজানো। সেগুলো দিয়ে চলাচলের রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। পাঁচ থেকে ছয়জন শ্রমিক বস্তাগুলো কাঁধে করে সড়কে ফেলছেন। পরে বালু ফেলে সড়ক সমতল করা হচ্ছে। ওপর থেকে দেখলে সাধারণ বালুর বস্তা মনে হলেও কাছে যেতেই নাকে আসে তীব্র গন্ধ। পথচারী ও শিশুরা ওই পথ দিয়ে চলাচল করছে। অ্যাসিডমিশ্রিত বর্জ্যের ঝাঁঝে সড়কের পাশে থাকা গাছের সবুজ পাতা ধূসর হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে আবুল কালাম সিসা কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য বস্তায় ভরে তাঁর বাড়ির সামনে সড়ক বানাচ্ছেন। তাঁরা প্রথমে বালুর বস্তা ভাবলেও উৎকট গন্ধের কারণে পরে বিষয়টি বুঝতে পারেন। এ বিষয়ে নিষেধ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি।

আরেক বাসিন্দা ফারুক উদ্দিন বলেন, ‘বস্তার কাছে গেলে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না, গন্ধে মাথা ধরে যায়। এগুলোর গন্ধে ঘরে টেকা যাচ্ছে না। সড়কের পাশে থাকা গাছের পাতাগুলো মরে যাচ্ছে। আবুল কালাম বিষয়টি জেনেবুঝে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বারণ করলেও তিনি শুনছেন না। বৃষ্টি হলে বর্জ্যের বস্তা থেকে আরও বাজে গন্ধ বের হবে। এ বিষয়ে শিগগিরই প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

জানতে চাইলে আবুল কালাম বলেন, ‘পাশের সিসা কারখানার বর্জ্যগুলো বস্তায় ভরে বাড়ির সামনের সড়কটি নির্মাণ করছি। বস্তা থেকে উৎকট গন্ধ বের হওয়ার বিষয়টি প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। এটি করা ঠিক হয়নি।’ বস্তাগুলো অপসারণ করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বস্তার ওপরে বালু ফেলে সমতল করব। তাহলে আর গন্ধ বের হবে না।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিসা কারখানার একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে কারখানা পরিচালনা করছি। কারখানার বর্জ্য বাইরে ফেলে রাখি। এলাকাবাসী নিজেরাই সেগুলো নিয়ে যায়। এসব বর্জ্য নিয়ে তারা কী করে, সে বিষয়ে কিছু জানি না।’

কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল মাওয়া বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ ও জনসাধারণের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ কাউকে করতে দেওয়া হবে না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ড় র স মন বর জ য ব ত বর জ য

এছাড়াও পড়ুন:

‘হে মহারাজ, এসো আমাদের সমতলে’—ক্লাব বিশ্বকাপে ‘আন্ডারডগ’দের গর্জন

ফুটবলের তথ্য–উপাত্ত ও পরিসংখ্যান বিশ্লেষণী ওয়েবসাইট ‘অপ্টা অ্যানালিস্ট’ ১১ জুন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ফুটবল লিগগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে শীর্ষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, দুইয়ে ইতালিয়ান সিরি আ, তিনে স্প্যানিশ লা লিগা, চারে জার্মান বুন্দেসলিগা ও পাঁচে ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ। এই তালিকা দেখে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের তালিকায় সব সময় এই পাঁচটি দেশের লিগকেই দেখা গেছে।

অর্থাৎ কাগজে–কলমে এ পাঁচটি লিগের যেকোনো দল বিশ্বের অন্য সব লিগের দলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী। সে তুলনায় ব্রাজিলিয়ান সিরি আ, পর্তুগিজ প্রিমেরা লিগ কিংবা সৌদি প্রো লিগের দলের তাদের বিপক্ষে পাত্তা পাওয়ার কথা না। অপ্টা অ্যানালিস্টের তালিকাতে দেখা গেছে, পর্তুগিজ প্রিমেরা লিগের অবস্থান আটে (যেখানে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগের লিগও ছয়ে), ব্রাজিলিয়ান সিরি আ নয়ে এবং সৌদি প্রো লিগ ২৯তম।

আরও পড়ুনবাঁ পায়ের ‘তুলি’তে মায়ামির ইতিহাস লিখলেন মেসি ১১ ঘণ্টা আগে

এবার আসল কথায় আসা যাক। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ তো দেখছেন? তা, কেমন বুঝছেন? ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের দলগুলোর কী অবস্থা?

ইন্টার মিলানকে দিয়ে শুরু করা যাক। ধারে–ভারে ইন্টারের ধারেকাছেও আসবে না মেক্সিকান ক্লাব মন্তেরেই। তিনবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইন্টার এবার সিরি আ–তে দ্বিতীয় হয়ে মৌসুম শেষ করেছে, শুধু কি তাই, এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও উঠেছিল সিরি আ–তে ২০ বারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এই দলটিতেই গত মঙ্গলবার ১–১ গোলে অবিশ্বাস্যভাবে রুখে দেয় মন্তেরেই। এই স্কোরকার্ডকে এমন চোখেও দেখা যায়, এবারের ইউরোপ–সেরার তালিকায় দ্বিতীয় হওয়া দলটি এমন এক দলের কাছে আটকেছে, যারা জনপ্রিয়তায় গোটা ক্লাব মিলিয়েও তাদের একজন খেলোয়াড়কে ছাপিয়ে যেতে পারবে না। সের্হিও রামোস!

মন্তেরেইয়ের সঙ্গে ড্রয়ে মাথায় হাত ইন্টার ফরোয়ার্ড লাওতারো মার্তিনেজের

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘হে মহারাজ, এসো আমাদের সমতলে’—ক্লাব বিশ্বকাপে ‘আন্ডারডগ’দের গর্জন