ইন্টার না পিএসজি, কাকে চ্যাম্পিয়ন দেখছেন আর্সেনাল কোচ
Published: 8th, May 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে আর্সেনালের বিদায়ের পর এবার পুরনো দল প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন (পিএসজি)কে শিরোপাজয়ী হিসেবে দেখতে চাইছেন মিকেল আর্তেতা। ফ্রেঞ্চ ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন একসময়, সেই টান থেকেই এবার তাদের জন্য শুভকামনা জানালেন আর্সেনাল কোচ।
বুধবার রাতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ২-১ গোলের আত্মবিশ্বাসী জয় পেয়েছে প্যারিসিয়ানরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের জয়ে পা রেখেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। পিএসজির পক্ষে ফ্যাবিয়ান রুইজ ও আশরাফ হাকিমি দারুণ দুটি গোল করেন। একটি শোধ করেন বুকায়ো সাকা।
ম্যাচ শেষে ফ্রেঞ্চ টিভি চ্যানেল ‘কানাল প্লাস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্তেতা বলেন, ‘আমি আশা করি পিএসজি এবার ট্রফিটা জিতবে। এখানে (পিএসজিতে) আমার অতীত রয়েছে, সেখান থেকেই বলছি। আমি সত্যি মন থেকে চাই ওরা এবার চ্যাম্পিয়ন হোক।’
আর্তেতা মনে করেন, দুই লেগেই দোন্নারুম্মাই ছিলেন ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেওয়া খেলোয়াড়, ‘আমরা ওদের থেকে ভালো খেলেছি, তবে গোলরক্ষকই পার্থক্য গড়েছে। দুই লেগেই ম্যাচসেরা সে ছিল। এটাই আসল গল্প।’
আর্সেনাল কোচ আরও বলেন, ‘আমি আমার দলের জন্য গর্বিত। খেলোয়াড়রা সাহস, বুদ্ধিমত্তা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছে। কিন্তু ফলাফলটাই সব বলে। আমরা ভালো খেলেও হেরে গেছি। এই জায়গা থেকে আমাদের আরও ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।’
৩১ মে মিউনিখের আলিয়্যাঞ্জ অ্যারেনায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে পিএসজি ও ইন্টার মিলান। প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরা হওয়ার পথে আরেকটি সুযোগ পেয়ে গেল ফরাসি জায়ান্টরা। আর তাদের পক্ষে গলা ফাটাচ্ছেন সাবেক তারকা মিকেল আর্তেতা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর স ন ল প এসজ আর স ন ল আর ত ত প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
আত্মগোপনে থাকা আ.লীগ নেতা বেন্টু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আত্মগোপনে থাকা আজিজুল আলম বেন্টু (৫৩), তার স্ত্রী গৃহবধূ নাসিমা আলম (৪৮) ও ছেলে রুহিত আমিনের (২৯) বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই আজিজুল আলম বেন্টু আত্মগোপনে রয়েছেন।
রোববার সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন।
মামলার বাদী আমির হোসাইন জানান, আজিজুল আলম বেন্টু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একচেটিয়া বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। অল্প টাকায় বালুমহাল ইজারা নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। বালুমহাল থেকেই তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। বৈধ আয়ের উৎস না থাকলেও বিপুল সম্পদের মালিক তার স্ত্রী গৃহবধূ নাসিমা আলম (৪৮) ও ছেলে রুহিত আমিন (২৯)।
দুদক জানায়, তার পরিবারের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই। আজিজুল আলম বেন্টু, তার স্ত্রী নাসিমা আলম ও ছেলে রুহিত আমিনের নামে দুদক ৩৬টি দলিলে ৯ দশমিক ৪০০৮১৮৯ একর জমির সন্ধান পেয়েছে। অনুসন্ধানে তাদের ১৮ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৫৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন করে দুদককে ৭ কোটি ৬৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৫ টাকার সম্পদের বিবরণ দেওয়া হয়। ফলে আয়বর্হিভূত ১০ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেখা যায়।
অনুসন্ধানকালে দুদক দেখেছে, বেন্টুর স্ত্রী নাসিমা আলম একজন গৃহিনী হলেও তার নামে আয়কর নথি খোলা হয়েছে। ২০২৩-২৪ করবর্ষে নাসিমা আলমের দাখিলকৃত আয়কর নথি অনুযায়ী, তার নামে মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬৭ টাকার। অনুসন্ধানকালে নাসিমা আলমের আয়ের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। স্বামী বেন্টুর অর্জিত সম্পদ তার নিজের আয়কর ফাইলে দেখিয়ে আয়কর নথি খোলা হয়েছে। ছেলে রুহিত আমিনের পেশা ছাত্র হলেও তার নামেও আয়কর নথি খোলা হয়েছে।
২০২৩-২৪ করবর্ষে দাখিলকৃত আয়কর নথি অনুযায়ী, তার নামে মোট সম্পদ ৭৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৯ টাকার। তারও আয়ের বৈধ কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। বাবা বেন্টুর অর্জিত সম্পদ তার আয়কর ফাইলে দেখিয়ে নিজ নামে আয়কর নথি খোলা হয়েছে। আয়কর নথিতে দেখা যায়, বেন্টু তার স্ত্রী এবং ছেলেকে গাড়ি কেনার জন্য ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকাও দিয়েছেন।
দুদক বলছে, নাসিমা আলম তার স্বামী আজিজুল আলম বেন্টুর অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ বৈধ করার অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ নামে আয়কর নথি খুলে সম্পদ অর্জন দেখিয়েছেন। একইভাবে ছেলে রুহিত আমিনও তার বাবা আজিজুল আলম বেন্টুর অর্জিত অবৈধ সম্পদ বৈধ করার অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ নামে আয়কর নথি খুলে সম্পদ অর্জন দেখিয়েছেন। এসব অবৈধ সম্পদ নিজেদের নামে রেখে ও ভোগদখল করে তারাও অপরাধ করেছেন। তাই মামলায় বেন্টুর স্ত্রী-ছেলেকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘মামলটি দায়ের করার পর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে নথি পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।’