এক সপ্তাহ ধরে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা নিয়ে চিন্তিত গোটা বিশ্ব। দুই দেশের সংঘাত নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন বলিউডসহ ভারতের অনেক তারকা। গতকাল নিজেদের মাঝে চলমান যুদ্ধ থেকে নিজেদের অস্ত্রবিরতি রাখার সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ।

তাৎক্ষনিক ও সম্পূর্ণ পরিসরে এই যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। যুদ্ধবিরতির এই সুসংবাদে আনন্দ ও স্বস্তির দেখা মিলেছে ভারতীয় শোবিজ অঙ্গনেও।

যুদ্ধবিরতিতে পোস্ট করেন বলিউডের ভাইজান সালমান খানও। তবে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়তে হয় অভিনেতাকে। যার ফলে সেই পোস্ট ডিলিটও করে দেন সালমান। 

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতিকে অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সালমান খান। যুদ্ধবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান এ অভিনেতা।

তার এক্স হ্যান্ডলের পোস্ট বিদ্যুতের গতিতে ভাইরাল হয়। আর তার পর থেকেই ধেয়ে আসতে শুরু করে কটাক্ষ। নেটিজেনরা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। কেউ প্রশ্ন করে বলেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুরের সময় চুপ ছিলেন কেন?’ আবার কেউ কেউ লিখেছেন, মাত্র আপনার ঘুম ভাঙল?

কারো মতে, সুযোগের সদ্ব্যবহার সালমানের কাছ থেকেই শেখা উচিত। সব মিলিয়ে একের পর এক কটাক্ষে বিরক্ত ভাইজান। তাই কিছুক্ষণের মধ্যে ওই পোস্টটি ডিলিট করে দেন তিনি। 

এর আগে অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে প্রায় বেশির ভাগ ভারতীয় তারকা মন্তব্য করলেও মন্তব্য করেননি সালমান খান। তবে পাকিস্তানে হামলার পর থেকেই চুপ সালমান খান, এমনটাই অভিযোগ নেটিজেনদের। 

এ প্রসঙ্গে সালমান খান এখনো কিছু বলেননি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জিম্মিদশা থেকে নারীকে উদ্ধার, পুলিশ বলছে মাদক নিয়ে বিরোধ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী রিজার্ভপাড়া এলাকার একটি বসতঘরের জিম্মিদশা থেকে এক নারীকে (৪৬) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশ এ অভিযান চালায়। ওই নারীর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রমজান আলী (৩৬)। তিনি পূর্ব ডুমখালী এলাকার নজির আহমদের ছেলে। তাঁর কাছ থেকে দেশে তৈরি একটি একনলা বন্দুক (এলজি), একটি গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরকানুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন।

চকরিয়া থানার পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি থেকে চকরিয়ার ডুলাহাজারায় এলে ১৫ সেপ্টেম্বর ওই নারীকে দুর্বৃত্তরা রিজার্ভপাড়া এলাকার একটি ঘরে আটকে রাখে। এরপর ওই নারীকে মুক্ত করতে থানায় অভিযোগ দেন তাঁর মেয়ে। অভিযোগে বলা হয়, ওই নারীর সামনে কিছু ইয়াবা ও অস্ত্র রেখে ভিডিও করা হয়। এরপর সেসব ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা আদায় করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে।

উদ্ধারের পর ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, একটি চক্র কৌশলে তাঁকে চকরিয়ায় নিয়ে এসে আটকে রাখে। মাদক ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে চাঁদা দাবি করে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, উদ্ধার হওয়া নারীর বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। মূলত ইয়াবা কেনাবেচার টাকার ভাগ–বাঁটোয়ারার দ্বন্দ্বে তাঁকে পূর্ব ডুমখালী রিজার্ভপাড়া এলাকায় আটকে রাখা হয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, এক নারীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রের একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে চক্রের অন্য তিন সদস্য পালিয়ে গেছেন।

তৌহিদুল আনোয়ার আরও বলেন, গ্রেপ্তার রমজান আলীকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জবানবন্দি দেন। ভুক্তভোগী নারীকে আটকে রাখার কথাও স্বীকার করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ