সিলেটে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
Published: 18th, May 2025 GMT
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এই দুই শিশু হলো মাধবপুর গ্রামের রোশন আলীর ছেলে সামাদ মিয়া (৭) এবং খালপাড় গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন (৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে রোশন আলীর বাড়ির উঠানে খেলছিল সামাদ ও আল আমিন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাদের খুঁজে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তাদের মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় বসতঘর থেকে মিনারা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মিনারা বেগম টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্ত্রী। তাঁর বাবার বাড়ি উপজেলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পূর্ব পাড়া এলাকায়। তিন সন্তানের জননী ছিলেন মিনারা বেগম।
পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতে ওই গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করা হয়। গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মিনারা বেগমের বড় ভাই মো. ইলিয়াস বলেন, গতকাল রাতে তাঁর ছোট বোনের স্বামী মোহাম্মদ ইব্রাহিম ফোন করে মিনারা বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজায় তালা লাগানো। তালা খোলার পর দেখা যায়, তাঁর বোনের লাশ ঝুলে রয়েছে। ইব্রাহিম তালা খুলে দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
মো. ইলিয়াস আরও বলেন, যৌতুকের দাবিতে তাঁর ছোট বোনকে নির্যাতন করে আসছিলেন ইব্রাহিম। বোনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করে এ বিষয়ে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মিনারা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত পেলে ওই নারীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।