জুড়ীতে পরীক্ষাকক্ষে প্রশ্নোত্তর লিখে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, শোকজ
Published: 18th, May 2025 GMT
মৌলভীবাজারের জুড়ীর জায়ফরনগর ইউনিয়নের চম্পকলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল্যায়ন পরীক্ষা চলাকালে ব্ল্যাকবোর্ড ও খাতায় প্রশ্নোত্তর লিখে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আজ রোববার বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপময় দাস চৌধুরী বলেন, ভিডিওটি তাঁদের নজরে আসার পর কেন, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার দুপুর থেকে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। মুঠোফোনে ধারণ করা ৩ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা চলছে। বেশ কিছু শিশুশিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। একজন সহকারী শিক্ষক ব্ল্যাকবোর্ডে প্রশ্নোত্তর লিখে দিয়েছেন। এক নারী অভিভাবক বেঞ্চে শিক্ষার্থীর পাশে বসে খাতায় প্রশ্নোত্তর লিখে দিচ্ছেন। এ সময় ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তি শিক্ষককে বলছিলেন, ‘ম্যাডাম, বোর্ডে উত্তর লিখে দিলেন কেন?’ জবাবে শিক্ষক বলেন, ‘যারা পারে না, শুধু তাদের জন্য লিখেছি।’ এভাবে কি পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে ভিডিও ধারণকারী প্রশ্ন করলে শিক্ষক বোর্ডে লেখা প্রশ্নোত্তর মুছে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৩ মে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। ভিডিওটি ১৪ মে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে ধারণ করা হয়।
জানতে চাইলে চম্পকলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধন সূত্রধর বলেন, ১৪ মে অসুস্থ থাকায় তিনি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে বসা ছিলেন। ঘটনাটি জানার পর ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তির সঙ্গে কয়েকজন অভিভাবকসহ বসেন। এ সময় তাঁরা প্রশ্নোত্তর লিখে দেওয়ার বিষয়টিকে অনৈতিক বলে স্বীকার করলে বিষয়টির সমাধান হয়ে যায়। কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছেন। যথাসময়ে জবাব দেবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।