কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে আহত এক শিশুর মৃত্যু
Published: 19th, May 2025 GMT
যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে আহত তিন শিশুর মধ্যে একজন মারা গেছে। সোমবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের নাম খাদিজা (৪)। এ ঘটনায় আহত বাকি দুই শিশু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর শহরের শংকরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, সকালে নিজ ঘরে খেলা করছিল খাদিজা, সজীব ও আয়েশা নামের একই পরিবারের তিন শিশু। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তারা। দৌড়ে গিয়ে দেখেন, পুরো ঘর ধোঁয়ায় ভরে গেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে শিশুরা। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পথেই খাদিজার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
পিকনিকের ট্রলারডুবি, নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার
পদ্মায় গোসলে নেমে যুবকের মৃত্যু
তারা আরো জানান, এখানের বাসিন্দারা সবাই দিনমজুর ও ভাঙারির ব্যবসা করে। বাড়ির আশপাশে এনে রাখা ভাঙারি থেকে হয়ত শিশুরা ককটেল খুঁজে পেয়েছিল। তা দিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হয় তারা।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন এক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২ কেজির ইলিশ বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়
সারাদেশে ইলিশের দাম নিয়ে যখন হইচই তখন জেলেরা ভুগছেন ইলিশ সংকটে আর ক্রেতারা হতাশ দাম নিয়ে। এ অবস্থায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জামাল মাতুব্বর নামের এক জেলের জালে ধরা পড়লো ২ কেজির এক ইলিশ যা বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়।
রোববার বিকেলে উপজেলার আশাখালী মাছ বাজারে ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটিকে ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন জেলে। মাছটি কেনেন বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম।
জেলে জামাল মাতুব্বর বলেন, গত কালকে সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমে আজকে আবহাওয়া খারাপ হওয়া তীরে চলে এসেছি৷ ইলিশ মাছ কম তবে একটি ইলিশ আমি ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছি। যে কারণে কম মাছ পেলেও খুব ভালো লাগছে। এর চেয়েও বড় ইলিশ সমুদ্রে পাওয়া যায় তবে এখন দাম অনেক হওয়ায় যা দাম এসেছে তাতে পুষিয়ে যায় আমাদের।
বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, গত ১১ জুন ৬০ দিনের অবরোধ শেষ হওয়ার পর কয়েকবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জেলেরা ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছেন না। তবে আজকে জেলে জামাল একটি মাছ প্রায় ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এটা তার জন্য অনেক আনন্দের। মাছটি আমি কিনে ঢাকায় পাঠিয়েছি।
উপজেলার বেশ কয়েকটি মাছের বাজারে কথা বলে জানা যায়, ইলিশ সংকট হওয়ায় তার দাম আকাশচুম্বী। আজকে এক কেজির উপরের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে এক লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৯৫ থেকে ৯৮ হাজার টাকায়, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৬৫ থেকে ৬৮ হাজার টাকায়, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ৬০ দিনের অবরোধ সঠিকভাবে পালন হওয়ায় সাগরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা ঠিকমত মাছ ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে মাছের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে আর দামও নাগালে চলে আসবে।