বর্তমানে নতুন স্বৈরাচারের আশঙ্কা রয়েছে: সলিমুল্লাহ খান
Published: 19th, May 2025 GMT
লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, বর্তমানে নতুন স্বৈরাচারের আশঙ্কা রয়েছে। এটি ইতিহাসের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। একটি স্বৈরাচারের পরে যে নির্যাতিত হয়, সে অপরকে নির্যাতন করে। এটি হলো প্রকৃতির নিয়ম। সেটি যেন না হয়, তার রক্ষার পথ জানতে হবে।
আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে চট্টগ্রামের সরকারি সিটি কলেজের এক সেমিনারে বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। কলেজটির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করেছিল। কলেজ মিলনায়তনে হওয়া এই সেমিনারের শিরোনাম ছিল ‘সংকটের তিন চেহারা: রাষ্ট্র, জাতি ও জনগণ’।
মানবিক করিডর নিয়ে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘মানবিক করিডর বিষয়টি রোহিঙ্গা সমস্যার সঙ্গে জড়িত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের মধ্যে জড়ালে আমাদের কী হবে, এটা বলা মুশকিল। তবে সমস্যাটা বাস্তব। রোহিঙ্গাদের ফেরত দেওয়া দরকার।’
গত স্বৈরাচার আমল কীভাবে ১৫ থেকে ১৬ বছর স্থায়ী হলো, এই প্রশ্ন করে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘স্বৈরাচার তো আগেই শুরু হয়েছে। র্যাবের কথা ধরুন, র্যাব তৈরি হয়েছে বিএনপির আমলে। ক্রসফায়ার তখন থেকেই শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা সে ধারা অব্যাহত রেখেছে। ন্যায়বিচারের পরিপন্থী শেখ হাসিনার বিচার চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিরও বিচার চাওয়া উচিত। সে বিচার চাইতে কি আপনারা প্রস্তুত আছেন? যদি না থাকেন, তাহলে আপনার কথা না বলাই ভালো।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করার সময় এখনই নয় বলে মনে করেন সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করা এখন প্রিম্যাচিউর হবে। দৌড় শেষ হওয়ার আগে কোনো ব্যক্তির সমালোচনা করা উচিত হবে না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে ডক্টর ইউনূসের চেয়ে ভালো ব্যক্তি ছিল না। তিনি ব্যর্থ হলে দায় আমাদেরও।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আইফোন থেকে স্যাটেলাইটে জরুরি বিপদবার্তা পাঠিয়ে জীবন বাঁচালেন এক পর্বতারোহী
বিপদে পড়লে প্রযুক্তি যে জীবন রক্ষা করতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা তার উদাহরণ। সম্প্রতি দুর্গম এক পর্বত থেকে নামার সময় ১০ হাজার ফুট উঁচুতে আহত হন এক পর্বতারোহী। সে সময় ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এরপর আইফোনের স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধা কাজে লাগিয়ে জরুরি বিপদবার্তা পাঠান তিনি। আইফোন থেকে পাঠানো জরুরি বিপদবার্তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর অবস্থানের তথ্য যুক্ত থাকায় উদ্ধারকারীরা সহজে তাঁকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। ফলে প্রাণে বেঁচে যান সেই পর্বতারোহী।
৫৩ বছর বয়সী ওই পর্বতারোহী স্নোমাস পর্বতশৃঙ্গে অভিযান চালাচ্ছিলেন। সফলভাবে শৃঙ্গে পৌঁছানোর পর তিনি নিচে নামার জন্য ‘গ্লাইডিং’ নামের একধরনের কৌশল অবলম্বন করেন। এ পদ্ধতিতে সাধারণত পর্বতারোহীরা নিয়ন্ত্রিতভাবে ও দ্রুত নিচে নামেন। কিন্তু নামার সময় একটি দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন। গুরুতর আঘাতের কারণে তিনি আর চলাফেরা করতে পারছিলেন না। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। এমন এক পরিস্থিতিতে আইফোনের স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধার মাধ্যমে তিনি স্যাটেলাইট সংযোগ ব্যবহার করে পরিবারের একজন সদস্যকে বার্তা পাঠান। বার্তা পাওয়ার পরপরই দ্রুত উদ্ধারকারী দল সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী শহরে নিয়ে আসে।
অ্যাপল ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৪ সিরিজের মাধ্যমে স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধা চালু করে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চল বা নেটওয়ার্কবিহীন স্থান থেকেও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জরুরি বার্তা পাঠানো সম্ভব। গ্লোবাল স্টার নামের একটি স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান এই সেবা পরিচালনা করে থাকে।
সূত্র: নিউজ১৮