হবিগঞ্জে মা–মেয়েসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে প্রতিবেশীর মৃত্যুদণ্ড
Published: 20th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জে মা–মেয়েসহ তিনজনকে হত্যার দায়ে শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া শাহ আলম জেলার মাধবপুর উপজেলার বীর সিংহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আসামির উপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট মাধবপুরের বীর সিংহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা খাতুনের সঙ্গে টাকার লেনদেন নিয়ে আসামি শাহ আলমের বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে শাহ আলম ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহানারাকে এলোপাতাড়ি কোপান। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে পাশের ঘর থেকে তাঁর মেয়ে শারমিন আক্তার, ছেলে সুজাত মিয়া ও প্রতিবেশী শিমুল মিয়া তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। পরে তাঁদেরও কুপিয়ে জখম করেন আসামি। এতে ঘটনাস্থলেই জাহানারা মারা যান। তাঁর মেয়ে শারমিন ও প্রতিবেশী শিমুলকে উপজেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত জাহানারার ভগ্নিপতি মোহন মিয়া বাদী হয়ে তিনজনকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। মামলার একমাত্র আসামি শাহ আলম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। আজ আসামির উপস্থিতিতে আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হ আলম
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে বিদেশি পিস্তল, গুলি, মাদকসহ তিনজন আটক, একজন গুলিবিদ্ধ
কক্সবাজারের টেকনাফের তুলাতলী ঘাট এলাকায় ইঞ্জিনচালিত একটি কাঠের নৌকা থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি গুলি, ৩০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ তিনজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গতকাল রোববার রাত আড়াইটার দিকে কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে।
আটক তিনজন হলেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও আবদুল শুক্কুর (৪০)। তাঁদের মধ্যে আবদুল শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই একটি নৌকা দেখতে পেয়ে রাতে থামার সংকেত দেয় কোস্টগার্ড। এ সময় নৌকায় থাকা ব্যক্তিরা কোস্টগার্ডের দিকে গুলি ছুড়ে নৌকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কোস্টগার্ডও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালিয়ে নৌকাটিকে ধাওয়া করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর নৌকাটি জব্দ করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড। নৌকা থেকে গুলিবিদ্ধ একজনসহ তিনজনকে আটক করা সম্ভব হলেও আরও চারজন সাগরে লাফ দিয়ে সাঁতরে পালিয়ে গেছেন। নৌকায় তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি গুলি ও ৩০ হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।
কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটক তিনজনই মাদক কারবারি। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ সাঈদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গুলিবিদ্ধ শুক্কুরকে কোস্টগার্ড সদস্যরা হাসপাতালটিতে নিয়ে যান। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পিঠে গুলিবিদ্ধ শুক্কুরের অবস্থা শঙ্কাজনক।
জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোস্টগার্ডের সঙ্গে মাদক কারবারিদের গোলাগুলির ঘটনা শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।’