বিয়ে করতে যাচ্ছেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া মিম
Published: 21st, May 2025 GMT
সময় নিজের গতিতে বয়ে চলে। সময়ের স্রোতে অনেক সম্পর্ক হারিয়ে যায়, কেবল জমা থাকে স্মৃতি। স্মৃতির গোদামে সময়কে রেখে নতুন জীবনের পথে হাঁটতে যাচ্ছেন অভিনেতা সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া মিম।
২০১২ সালে সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন স্পেনপ্রবাসী মারিয়া মিম। সেই সূত্রেই বাংলাদেশে থিতু হন। শুরু করেছিলেন মডেলিং, স্বপ্ন দেখেছিলেন শোবিজে ক্যারিয়ার গড়ার। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েনে সে স্বপ্ন আর এগোয়নি। সংসার আর পেশাগত পথচলার মাঝে তৈরি হয় দূরত্ব। সর্বশেষ ২০১৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে আলাদা হয়ে যান এই দম্পতি।
এরপর কেটে গেছে ছয়টি বছর। জীবনের নতুন অধ্যায়ে ফের প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন মিম। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও পোস্ট করে এই সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রেমিকের মুখ আড়ালে থাকলেও ক্যাপশনে মিম লেখেন— “আমার ভালোবাসা।”
আরো পড়ুন:
অনেক প্রস্তাব পেয়েছি, তবু রাজি হইনি: হানিফ সংকেত
ঢাকার রাস্তাঘাটই এখন আমার র্যাম্প, বললেন ক্ষুব্ধ পিয়া
বিয়ের প্রসঙ্গে মারিয়া বলেন, “আমি প্রেম করছি। তবে আমার বয়ফ্রেন্ড মিডিয়ার কেউ নন, তিনি একজন সাধারণ মানুষ। খুব শিগগিরই আমরা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবো।”
প্রাক্তন স্বামী সিদ্দিককে নিয়ে চলমান আলোচনার প্রসঙ্গে মারিয়া বলেন, “সিদ্দিক তো আমার প্রাক্তন। ডিভোর্স হয়ে গেলে দেখা করাটাও অনুচিত। তিনি এখন আমার জন্য পরপুরুষ। দয়া করে তাকে আমার সঙ্গে জড়াবেন না।”
সম্প্রতি একটি ঘটনার জেরে আলোচনায় রয়েছেন অভিনেতা সিদ্দিক, যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করা হচ্ছে। এর কিছু অংশ মারিয়াকে উদ্দেশ করে কটাক্ষ হিসেবে এসেছে। জবাবে মারিয়া সাফ জানিয়ে দেন, “ডিভোর্সের ৫-৬ বছর পরও কেউ জামাই থাকে না। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অকারণে মন্তব্য না করাই শ্রেয়।”
নিজের মতামত ও জীবন নিয়ে স্পষ্টভাবে অবস্থান জানিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন মারিয়া মিম। এখন দেখার পালা— তার নতুন জীবনের সূচনা কীভাবে হয়।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক জ বন র
এছাড়াও পড়ুন:
চবিতে ৬ ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, একজনের স্থায়ী বহিষ্কার বহাল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত ১০ ছাত্রীকে বহিষ্কারের ঘটনায় সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর তিন ছাত্রীর বহিষ্কারের মেয়াদ দুই বছর থেকে কমিয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। বাকি এক ছাত্রীর স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে। তিন মাস পর সিদ্ধান্তে পরিবর্তন ও তিন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখার কারণে সমালোচনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। ছয় মাস বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা ছাত্রীদের দু’জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স আর একজন মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রী। আর স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা ছাত্রী আইন বিভাগের।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন সমকালকে বলেন, বিজয় ২৪ হলের (পূর্ব নাম জননেত্রী শেখ হাসিনা হল) ঘটনায় যে ১০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, সে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষককে শারীরিক লাঞ্ছনা করা এক ছাত্রীর স্থায়ী বহিষ্কারের আদেশ বহাল থাকছে। ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকি তিনজনের বহিষ্কারাদেশ কমিয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। এই বহিষ্কারের আদেশ ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীদের আবাসিক বিজয় ২৪ হলের সামনে রাখা নৌকা আকৃতির বসার স্থান ভাঙচুর করতে যাওয়া কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিতণ্ডা হয় আবাসিক ছাত্রীদের। এ সময় সহকারী প্রক্টরকে শারীরিক লাঞ্ছনা এবং ও ধর্ম অবমাননার কারণে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ১২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১১ জনই ছাত্রী। এর মধ্যে ১০ জন ছাত্রীকে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতের ঘটনায় বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই বহিষ্কারের ঘটনায় সারাদেশে বিভিন্ন পক্ষের সমালোচনার মুখে ওই ১০ শিক্ষার্থীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীর সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে আজ সিদ্ধান্তে আবারও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় ছাত্রীদের অভিযোগ, তারা নৌকা ভাঙার বিপক্ষে ছিলেন না। বরং প্রশাসন যেন এটি ভাঙে, সে দাবি করেছিলেন। এ জন্য তারা আগেই প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবে প্রশাসন সেটি ভাঙেনি। উল্টো মধ্যরাতে একদল শিক্ষার্থী সেটি ভাঙতে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছে। এসব ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল বডিকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন রাতে উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে প্রতিবাদ জানাতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ড. মোহাম্মদ কুরবান আলির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সহকারী প্রক্টর কোরবান আলীকে শারীরিক লাঞ্ছনা করতে দেখা যায় এক ছাত্রীকে। এ ছাড়া কয়েকটি ভিডিওতে প্রক্টরিয়াল বডির একাধিক সদস্যকে ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
এর মধ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ওই ছাত্রীদের বহিষ্কার করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রক্টর উসকানিমূলক বার্তা দিয়েছেন কিছু শিক্ষার্থীকে। ছড়িয়ে পড়া এসব স্ক্রিনশটে ছিল সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী ও নুরুল হামিদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর কথোপকথন।
ফেসবুকের মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তায় দেখা যায়, এই দুই প্রক্টর ওই ১০ ছাত্রীকে বহিষ্কারের জন্য ‘প্রশাসনকে চাপ দিতে’ বলেন।