কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিল মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনী
Published: 21st, May 2025 GMT
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও বিমানবাহিনী। প্রশিক্ষণ শুরু হয় গত ১৮ মে। আজ ২১ মে বুধবার সম্পন্ন হয়। এই প্রশিক্ষণে অংশ নেয় কক্সবাজারের ১৫ জন কর্মকর্তা ও অগ্নিনির্বাপনকারী কর্মী।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম জানান, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় কবলিত ভিকটিমদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্যারাসেলিং পয়েন্টে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকান অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় মার্কিন সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই প্রশিক্ষণ দেয়। আজ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন প্রশিক্ষকরা। এতে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার, পানিতে ভেসে যাওয়া থেকে উদ্ধারসহ নানান বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
এদিকে প্রশিক্ষণের বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে নেটিজেনদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘তেমন কিছু নয়। আমরা শুধু প্রশিক্ষণ নিয়েছি। প্রশিক্ষণ শেষ, তারা আজই কক্সবাজার থেকে চলে যাবেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।