লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ইউনিয়ন ও শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্ত দিয়ে ২০ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার পর ১১ নারী, ২ পুরুষ ও ৭ শিশুকে পুশইন করা হয়। এরপর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাদেরকে আটক করে বৃহস্পতিবার পাটগ্রাম থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন।
সংশ্লিষ্ট সীমান্তের বিজিবি ও পাটগ্রাম থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজিবি ও থানা পুলিশ জানায়, পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮২৬ নম্বরের ৬ নম্বর উপ-পিলারের রহমতপুর গাটিয়ারভিটা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোমতি ক্যাম্পের সদস্যরা ৭ নারী ও ৪ শিশুকে পুশইন করে। এ সময় ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের ধবলসুতি ক্যাম্পের সদস্যরা বাংলাদেশের ৪শ গজ অভ্যন্তর থেকে পুশইনের শিকার নারী, শিশুদেরকে আটক করে।
অপরদিকে ভোর ৫টার দিকে একই উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪৬ নম্বরের ৪ নম্বর উপ-পিলারের ঝালঙ্গী পকেট সীমান্ত দিয়ে ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জের জামালদহ ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মহানদী ক্যাম্পের সদস্যরা ৩ শিশু, ৪ নারী ও ২ জন পুরুষকে পুশইন করে। পুশইনের ঘটনা টের পেয়ে ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের ঝালঙ্গী ক্যাম্পের সদস্যরা বাংলাদেশের ৫শ গজ অভ্যন্তর থেকে পুশইনের শিকার নারী, শিশু ও পুরুষদেরকে আটক করেন।
আটকরা জানায়, গত একমাস ধরে ভারতের গুজরাটের জেলহাজতে রাখার পর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ভারত থেকে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্ত দিয়ে ২০ নারী, শিশু ও পুরুষকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। বিজিবি তাদের থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ি সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ পাঁচজনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বৃহস্পতিবার তাদের পুশইন করা হয়।
জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম সীমান্ত থেকে রামগড় সীমান্তের ফেনী নদী দিয়ে পাঁচজনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। তারা একই পরিবারের এবং ভারতের হরিয়ানার বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, তারা ভারতের হরিয়ানার বাসিন্দা এবং সেখানে একটি ইট-ভাটায় কাজ করতেন।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইসমত জাহান তুহিন বলেন, পাঁচজনকে সাময়িকভাবে রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন ও রামগড় থানা সমন্বিতভাবে কাজ করছে এবং তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।