হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মাদকের রমরমা কারবার জমে উঠেছে। সহজে মাদক পাওয়া এবং প্রত্যন্ত নিরিবিলি এলাকা হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে তরুণ ও যুবকরা এখানে এসে মাদক সেবন করে। বাগান কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেও মাদকের বিস্তার রোধ করতে পারছে না। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।

তেলিয়াপাড়া চা বাগান হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ রয়েছে। বাগান ও তেলিয়াপাড়া চা বাগান স্মৃতিসৌধ দেখার অজুহাতে মাদকসেবীরা এসে মাদক সেবন করে থাকে। বাগানের কিছু যুবক টাকার লোভে পড়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে চলে মাদক কেনাবেচা।

যোগেন্দ্র সাঁওতাল নামে তেলিয়াপাড়া চা বাগানের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ শ্রমিক নেতা জানান, আগে চা বাগানে মাদকের ব্যাপকতা ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বাইরের লোকদের প্ররোচনা ও লোভে পড়ে এখন কিশোর এবং তরুণরা বিভিন্ন মাদকের কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। যারা এসব সেবন করছে, তারা সবাই বয়সে তরুণ ও যুবক। মোটরসাইকেলযোগে তাদের যাতায়াত।

তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার ইউসুফ খান বলেন, মাদকের কারণে চা বাগানের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বাগানকে শতভাগ মাদকমুক্ত রাখতে এনটিসি কর্তৃপক্ষ বহুদিন ধরে চেষ্টা করছে। তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে নাগরিক সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঠাকুরগাঁওয়ে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু  

ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে সাবিরা আকতার ইতি ও সংগিতা রানী নামে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এদের একজন গলায় ফাঁস দেন এবং অপরজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) পীরগঞ্জ উপজেলায় এ দুটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের করনাই হাটপাড়া গ্রামের মঈনুদ্দিনের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী সাবিরা আকতার ইতি বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির লোকজনের অগোচরে নিজ শয়ন ঘরের বারান্দার তিরের সাথে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে বাড়ির লোকজন তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। সন্ধ্যায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

অন্যদিকে এ উপজেলার শাটিয়া গ্রামের গবেশ্বরের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী সংগিতা রানী গত ১৮ মে দুপুরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর একজন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। দুটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

ঢাকা/হিমেল/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ