বন্দরে ২ সন্তানের জনক রাজিব মোল্লার আত্মহত্যা
Published: 24th, May 2025 GMT
বন্দরে স্ত্রী ও শ্বশুর/ শ্বাশুড়ি নির্যাতন সইতে না পেরে ২ সন্তানের জনক রাজিব হোসেন মোল্লা (৩০) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারি রাজিব হোসেন মোল্লা বন্দর থানার নবীগঞ্জ রসুলবাগ এলাকার সামসুদ্দিন মোল্লা ওরফে সামু মিয়ার ছেলে।
শনিবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে যে কোন সময়ে তার নিজ বাড়িতে এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরুতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় আত্মহত্যাকারী রাজিব মোল্লার বড় ভাই সজিব বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন দুপুরে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে নবীগঞ্জ রসুলবাগ এলাকার নাজমুল হোসেনের মেয়ে সুচনা সাথে একই এলাকার সামসুদ্দিন মোল্লা ওরফে সামু মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেন মোল্লা ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিবাহ করে।
তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে । গত ৭/৮ দিন পূর্বে রাজিব হোসেন মোল্লার সাথে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার স্ত্রী সুচনা সাথে ঝগড়া বিবেদ হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সুচনা পিত্রালয়ে চলে যায়।
এর ধারাবাহিকতা শনিবার সকালে রাজিব হোসেন মোল্লা তার শ্বশুর বাড়ীতে গিয়ে স্ত্রী সন্তানদের বাড়ি নিয়ে আসতে গেলে ওই সময় স্ত্রী সুচনাসহ তার পিতা/ মাতা ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিব হোসেন মোল্লাকে অপমান অপদস্থসহ মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনায় রাগে ক্ষোভে রাজিব হোসেন মোল্লা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে যে কোন সময়ে তার নিজ ঘরের ফ্যানের হুকের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশি তদন্ত অব্যহত রয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এ ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে সেতু ভেঙে নিহত ৯
ফের সেতু ভেঙে পড়ল ভারতে। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে গুজরাটের বডোদরায় মহীসাগর নদীর উপর ভেঙে পড়ে গম্ভীরা সেতু। সেই সময় সেতুর উপরে থাকা অন্তত চারটি গাড়ি নদীতে পড়ে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মধ্য গুজরাট এবং সৌরাষ্ট্রের মাঝামাঝি পাডরা-মুজপুর এলাকায় মহীসাগর নদীর উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গম্ভীরা সেতু। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ‘‘ওই সময় দুটি ট্রাক, একটি ভ্যান এবং একটি গাড়ি সেতু দিয়ে যাচ্ছিল। সেতুর একটি অংশ আচমকাই ভেঙে পড়ে। ওই অংশে থাকা গাড়িগুলোও উপর থেকে সোজা নদীতে গিয়ে পড়ে।”
আরো পড়ুন:
টানা বৃষ্টিতে কলকাতায় জনজীবন বিপর্যস্ত
রাতের অন্ধকারে ভারতে আওয়ামী লীগ নেতা, সীমান্ত পেরিয়েই গ্রেপ্তার
খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। এখনও পর্যন্ত চার জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৯ জনের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বডোদরার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রোহন আনন্দ। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে ২০২২ সালে এই রাজ্যেরই মোরবীতে সেতু ভেঙে পড়ে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগে সংস্কারের জন্য প্রায় দুই দশক ধরে বন্ধ ছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া ওই সেতু। পুনর্নির্মাণের পর ২০২২ সালের অক্টোবরে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় ঝুলন্ত সেতুটি। খুলে দেওয়ার চার দিনের মধ্যে সেতুটি ভেঙে পড়ে। ওই দিন মাচ্ছু নদীর উপরের ঝুলন্ত সেতুটি দেখতে প্রচুর মানুষ হাজির হয়েছিলেন। শুধুমাত্র ভেঙে পড়ার দিনেই নাকি টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজারেরও বেশি! দুর্ঘটনার সময়েও সেতুর উপর ছিলেন ৩০০ জন। তার মধ্যে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন আরো অনেকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সেতুর সংস্কারে ঘাটতি ছিল। অভিযোগের আঙুল ওঠে নির্মাণকারী সংস্থা এবং রাজ্য সরকারের দিকেও।
বুধবারের সেতু বিপর্যয় ফেরাচ্ছে তিন বছর আগের সেই ঘটনার স্মৃতি।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ