বন্দরে স্ত্রী ও শ্বশুর/ শ্বাশুড়ি নির্যাতন সইতে না পেরে ২ সন্তানের জনক রাজিব হোসেন মোল্লা (৩০) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারি রাজিব হোসেন মোল্লা বন্দর থানার নবীগঞ্জ রসুলবাগ এলাকার সামসুদ্দিন মোল্লা ওরফে সামু মিয়ার ছেলে। 

শনিবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে যে কোন সময়ে তার নিজ বাড়িতে এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরুতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। 

এ ঘটনায় আত্মহত্যাকারী রাজিব মোল্লার বড় ভাই সজিব বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন দুপুরে  বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে নবীগঞ্জ রসুলবাগ এলাকার  নাজমুল হোসেনের মেয়ে সুচনা সাথে একই এলাকার সামসুদ্দিন মোল্লা ওরফে সামু মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেন মোল্লা ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিবাহ করে। 

তাদের  দাম্পত্য জীবনে দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে । গত ৭/৮ দিন পূর্বে  রাজিব হোসেন মোল্লার সাথে  সাংসারিক বিভিন্ন  বিষয় নিয়ে তার স্ত্রী সুচনা সাথে  ঝগড়া বিবেদ হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সুচনা  পিত্রালয়ে চলে যায়। 

এর ধারাবাহিকতা শনিবার সকালে  রাজিব হোসেন মোল্লা তার শ্বশুর বাড়ীতে গিয়ে  স্ত্রী সন্তানদের বাড়ি নিয়ে আসতে গেলে ওই সময়  স্ত্রী সুচনাসহ তার পিতা/ মাতা ক্ষিপ্ত হয়ে  রাজিব হোসেন মোল্লাকে অপমান অপদস্থসহ মারপিট করে বাসা থেকে বের করে  দেয়। 

এ ঘটনায়  রাগে ক্ষোভে  রাজিব হোসেন মোল্লা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে যে কোন সময়ে তার নিজ ঘরের ফ্যানের হুকের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশি তদন্ত অব্যহত রয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

১০ মাস পর ওবায়দুল কাদের ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সুহেল আহমদ (২১) নিহতের ঘটনায় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাসংদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

হত্যার ঘটনার দশ মাস পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের সহকর্মী ও বন্ধু আব্দুল হামিদ চৌধুরী ওরফে ফরহাদ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে শনিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত যুবক সুহেল আহমদ পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রি। আন্দোলন চলাকালীন তিনি এবং বাদী উভয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে প্রিয়ম নিবাসের দ্বিতীয় তলার ডাচ বাংলা ব্যাংকের অফিসে টাইলসের কাজ করছিলেন।

ছাত্র-জনতা ২০ জুলাই যখন ভবনটির সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন করছিলেন, তখন প্রধান আসামি ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনায় এবং দ্বিতীয় আসামি শামীম ওসমানের উপস্থিতিতে অন্যান্য আসামিরা অস্ত্র নিয়ে জনতার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে আসামিরা ভিকটিম এবং বাদীর কর্মরত ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

এতে বাদী প্রাণ রক্ষায় ভবন থেকে লাফ দিয়ে পালাতে পারলেও ভিকটিম ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা যায়। এই ঘটনার দুই দিন পর ভবনের ভেতর থেকে ভুক্তভোগী সুহেল আহমেদের পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত সুহেল আহমেদের লাশ তার বাবা তাখলিসুর রহমানের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ