রিমার্ক হারল্যান ও মীনা বাজারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
Published: 26th, May 2025 GMT
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কসমেটিকস, হোমকেয়ার ও স্কিনকেয়ার পণ্য উৎপানকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ-এর এফিলিয়েটেড রিমার্ক-হারল্যান এবং দেশের অন্যতম বৃহৎ রিটেইল চেইন শপ মীনা বাজােরর মধ্যে যৌথ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা চুক্তি সম্পাদন হয়েছে।
সম্প্রতি রিমার্ক-হারল্যানের কর্পোরেট কার্যালয়ে উভয় কোম্পানির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
অনুষ্ঠানে রিমার্কের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আশরাফুল আম্বিয়া এবং মীনা বাজারের পক্ষে চিফ অপারেটিং অফিসার শামীম আহমেদ জায়গীরদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির আওতায় মীনা বাজারের সকল আউটলেটে রিমার্ক-এর উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করা হবে। যার মাধ্যমে ক্রেতারা গুণগত ও অথেনটিক পণ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকারের মূল্যছাড় ও অফার পাবেন যা তাদের ‘ভ্যালু ফর মানি’ নিশ্চিত করবে। একইসঙ্গে মীনা বাজারও রিমার্কের পণ্য বিক্রয়ে বিশেষ সহায়তা প্রদান করবে।
রিমার্ক অরিক্স, লিলি, একনল, সানবিট, টাইলক্স, লিটল ওয়ান ব্র্যান্ডগুলো নিয়ে হোম অ্যান্ড পারসোনাল কেয়ার ক্যাটাগরিতে পণ্য তৈরি করে। এছাড়া ফ্যাশন সচেতন ভোক্তাদের জন্য রয়েছে নিওর, ম্যাক্স বিউ, ব্লেজ ও স্কিন, হারল্যান, স্কিন মিন্ট ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কালার কসমেটিক্স ও স্কিন কেয়ার পণ্য। স্বাস্থ্য সচেতনতার ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে প্রতিষ্ঠানটি ক্যাভোটিন, সিওডিল, ডার্মো ইউ ব্র্যান্ডের মাধ্যমে মেডিকেটেড কসমেটিকস সরবরাহ করে; যা ত্বক ও চুলের বিশেষ যত্নে কার্যকরী। রিমার্কের এসকল পণ্য দৈনন্দিন জীবনে এবং রূপচর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তি বাংলাদেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ব্যবসায় এবং রিটেইল ব্যবসাখাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং ভোক্তাদের জন্য মানসম্পন্ন পণ্য সহজলভ্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শাহেদ//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল রিচার্ড কোরেল ভেবেছিলেন, দেশটির পারমাণবিক বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুনানি সহজভাবেই শেষ হবে। তবে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের আগের দিন বুধবার রাত ৯টা ৪ মিনিটে সে আশা ভেঙে গেছে।
ওই সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন। বলেন, তিনি মার্কিন বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা অবিলম্বে শুরু করতে বলেছেন। তাঁর যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের পেছনে থাকতে পারে না।
ট্রাম্প বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় এবং চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিনেটে সশস্ত্র বাহিনী কমিটির প্রায় ৯০ মিনিটের শুনানিতে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে বারবার কোরেলকে প্রশ্ন করা হয়। ট্রাম্পের মন্তব্যে অনেক আইনপ্রণেতাই এ সময় ছিলেন বিভ্রান্ত। এ থেকে বোঝা যায়, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ও এর বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা পরিষ্কার করেননি যে ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থার পরীক্ষা করতে বলছেন, নাকি বিস্ফোরক পরীক্ষায় ৩৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ করতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশ বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, যা শীতল যুদ্ধের ভয়ংকর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য সিনেটর জ্যাক রিড কোরেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা শুরু করলে তা কি বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
কোরেল বলেন, ‘যদি আমাকে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের (স্ট্র্যাটকম) কমান্ডার হিসেবে নিশ্চিত করা হয়, আমার কাজ হবে, পারমাণবিক পরীক্ষাবিষয়ক যেকোনো আলোচনা সম্পর্কে সামরিক পরামর্শ দেওয়া।’
ভাইস অ্যাডমিরাল কোরেলকে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প স্ট্র্যাটকমের প্রধান করার জন্য মনোনীত করেন। স্ট্র্যাটকম পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধ ও আক্রমণের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। কোরেল পুরো শুনানিতে সতর্কভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় ও চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টশুনানির এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প কি পারমাণবিক ডিভাইসের বিস্ফোরক পরীক্ষা নয়, বরং ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষার কথা বলছেন কি না।
জবাবে কোরেল বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য জানি না, তবে এটি এমন একটি ব্যাখ্যা হতে পারে, আমি তা মেনে নিই।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বৈঠকে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিং