টিসিবির জন্য কেনা হচ্ছে ৪৫ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল
Published: 27th, May 2025 GMT
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৪৫ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল কেনা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
টিসিবির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে এ তেল কিনতে ৭১ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এতে প্রতি লিটার তেলের দাম পড়ছে ১৫৯ টাকা ৫০ পয়সা।
এর আগে, গত ১৩ মে একই ধরনের পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কিনতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছিল। তখন প্রতি লিটার তেলের দাম ধরা হয়েছিল ১৬১ টাকা। ওই অনুমোদন অনুযায়ী, মজুমদার প্রডাক্ট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার লিটার, তামিম এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ২০ হাজার লিটার, প্রধান অয়েল মিলস থেকে ২০ হাজার লিটার এবং গ্রীন অয়েল অ্যান্ড পল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ২০ হাজার লিটার তেল কেনা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরের মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর) এবং তাদের স্থানীয় তিনটি সম্প্রচার কেন্দ্র। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতে একটি মামলা করে এনপিআর। প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমটির সরকারি অনুদানে কাটছাঁট করতে ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন, তা অবৈধ।
এনপিআরসহ আরেক সম্প্রচারমাধ্যম পিবিএসের সরকারি সহায়তা বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেশন ফর পাবলিক ব্রডকাস্টিং ও অন্যান্য সংস্থাকে নির্দেশনা দিয়ে গত মাসে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গণমাধ্যম দুটির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারে ‘পক্ষপাতিত্ব’ করার অভিযোগ তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলের পেছনে প্রায় ৫০ কোটি ডলার খরচ করে করপোরেশন ফর পাবলিক ব্রডকাস্টিং। এ থেকে পিবিএস ও এনপিআর যথাক্রমে ১৭ শতাংশ ও ২ শতাংশ বরাদ্দ পায়।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পছন্দ করেন না—এমন সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য এনপিআরকে শাস্তি দিতে ওই নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছে। এই আদেশের মাধ্যমে সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে দেওয়া যে অধিকার এনপিআর ও স্বতন্ত্র সরকারি রেডিওগুলো ভোগ করে, তা খর্ব করা হয়েছে।
মঙ্গলবারের মামলায় নিজেদের নাম লেখায়নি পিবিএস। এর আগেও তারা বিষয়টি নিয়ে মামলা করেনি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই আদালতের দ্বারস্থ হবে সম্প্রচারমাধ্যমটি। এনপিআরের আগে ভয়েস অব আমেরিকা ও রেডিও ফ্রি ইউরোপের মতো সরকার পরিচালিত গণমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নানা প্রচেষ্টাও আদালতে গড়িয়েছিল।