বন্দরে ৩০ কেঁজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
Published: 27th, May 2025 GMT
বন্দরে ঢাকাগামী একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ কেঁজি গাঁজাসহ কুমিল্লার ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার পয়াত উত্তরপাড়া এলাকার মনির হোসেন মিয়ার ছেলে মাদক কারবারি আলমগীর হোসেন (২৫) ও একই এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (১৮)।
গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ বাদী হয়ে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ২৯(৫)২৫।
ধৃতদের মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার (২৬ মে) বিকেলে বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের বনতলা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকাগামী ঢাকা মেট্রো ড ১২-৪৬৮১ নাম্বারে একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে উল্লেখিত গাঁজাসহ ওই দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন ধরে অবাধে মাদক বিক্রি করে আসছিল।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহাদাত হোসেনসহ সঙ্গী ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনতলা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকাগামী ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ কেঁজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।