‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (জিডিএস) বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৭ মে) তারা বিভাগের নাম ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (ডিএস) করার দাবিতে বিভাগীয় প্রধানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং বিভাগের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।

‎জিডিএস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদিত কাঠামোয় ‘জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ নামে কোনো স্বতন্ত্র বিভাগ নেই। এ বিষয়ে বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও ‘কমিটি গঠন হচ্ছে’ কিংবা ‘প্রক্রিয়াধীন’ বলে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে, যা বাস্তব কোনো সমাধান নয়।

আরো পড়ুন:

ছাত্রী হেনস্থার প্রতিবাদ করায় ঢাবির ২ শিক্ষার্থীকে মারধর

রবিতে রবীন্দ্র জন্মোৎসবের উদ্বোধন 

‎জিডিএস বিভাগের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নাঈম বলেন, “জিডিএস বিষয়টি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে রূপান্তরের জন্য আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের টালবাহানায় রেজুলেশন আটকে আছে। তাই বাধ্য হয়েই তালা দিয়েছি। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।”

‎আরেক শিক্ষার্থী জুয়েল রানা বলেন, “সারা দেশে কোথাও জিডিএস নামে কোনো বিভাগ নেই। আমাদের বিভাগে মাত্র ৮০ ভাগ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ পড়ানো হয়। তাই আমরা বিলম্ব না করে এখনই বিভাগের নাম পরিবর্তন চাই।”

‎এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.

ফেরদৌস রহমান বলেন, “বিষয়টি সময়ের দাবি।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড ভ লপম ন ট স ট ড জ জ ড এস

এছাড়াও পড়ুন:

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা

ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা—দু’জায়গাতেই নিজের অভিনয়গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। পর্দার চরিত্রে যেমন সাহসী, বাস্তব জীবনেও তেমনি সরব ও স্পষ্টভাষী।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার উপস্থিতি সবসময়ই আলোচনায় থাকে। নিয়মিত ছবি ও ভাবনার টুকরো প্রকাশ করায় অনেক সময় কটাক্ষের মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে এবার সেই সমালোচনা নিয়ে খোলামেলা মুখ খুললেন ভাবনা। 

আরো পড়ুন:

সিনেমায় জুটি বাঁধলেন ইয়াশ-তটিনী

‘বেহুলা দরদী’ রূপে পর্দায় স্নিগ্ধা

এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান জানাতে গিয়ে ভাবনা বলেন, “একজন লুকিয়ে লুকিয়ে লিখছে, যার নামহীন একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট—না কোনো নাম, না কোনো পরিচয়! এখন সে কোথায় বসে কী লিখছে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।” 

তার মতে, ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে আসা সমালোচনা বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য কখনো তার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে না। ভাবনা বলেন, “যারা নিজেদের মুখ লুকিয়ে কথা বলে, তাদের মতামত আমার কাছে কোনো গুরুত্ব রাখে না।”

অভিনেত্রীর ভাষায়, নিজের কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে পার্থক্য বজায় রাখাই তার মূল নীতি। সমালোচনা বা প্রশংসা—দুটোই তিনি সামলান এক ধরনের ভারসাম্যের সঙ্গে। ভাবনা বলেন, “আমি জানি, আমি কী করছি। কারো ভালো লাগা বা খারাপ লাগা আমার কাজের মান নির্ধারণ করে না। আমি আমার পথেই থাকব, এটাই আমার বিশ্বাস।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ