বেরোবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্ম
Published: 27th, May 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (জিডিএস) বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) তারা বিভাগের নাম ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (ডিএস) করার দাবিতে বিভাগীয় প্রধানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং বিভাগের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।
জিডিএস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদিত কাঠামোয় ‘জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ নামে কোনো স্বতন্ত্র বিভাগ নেই। এ বিষয়ে বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও ‘কমিটি গঠন হচ্ছে’ কিংবা ‘প্রক্রিয়াধীন’ বলে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে, যা বাস্তব কোনো সমাধান নয়।
আরো পড়ুন:
ছাত্রী হেনস্থার প্রতিবাদ করায় ঢাবির ২ শিক্ষার্থীকে মারধর
রবিতে রবীন্দ্র জন্মোৎসবের উদ্বোধন
জিডিএস বিভাগের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নাঈম বলেন, “জিডিএস বিষয়টি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে রূপান্তরের জন্য আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের টালবাহানায় রেজুলেশন আটকে আছে। তাই বাধ্য হয়েই তালা দিয়েছি। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।”
আরেক শিক্ষার্থী জুয়েল রানা বলেন, “সারা দেশে কোথাও জিডিএস নামে কোনো বিভাগ নেই। আমাদের বিভাগে মাত্র ৮০ ভাগ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ পড়ানো হয়। তাই আমরা বিলম্ব না করে এখনই বিভাগের নাম পরিবর্তন চাই।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড ভ লপম ন ট স ট ড জ জ ড এস
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি