মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ আমলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলার বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি আরেক ধাপ এগোল। 

শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এ ছাড়া কারাগারে থাকা আরেক আসামি, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের আইজির দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আগামী ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদনও প্রসিকিউশনকে একই দিন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপনের পর চিফ প্রসিকিউটরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো.

গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল রোববার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্র্যাইবুনালের বিচারকাজ বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম মামলার বিচার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার হলো। 

এর আগে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম তিনজনের বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে দাখিল করেন। এর পর ১৩৫ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগের সারসংক্ষেপ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। তা পড়ে শোনান অপর দুই প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও আব্দুস সোবহান তরফদার। শুরুতেই চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে বলেন, এই মামলায় আট খণ্ডের অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। ২ হাজার পৃষ্ঠায় শহীদের তালিকা রয়েছে। 

এর পর শুনানির শেষ দিকে চিফ প্রসিকিউটর তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজা চান। একই সঙ্গে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জুলাই-আগস্টে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণের জন্য ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা চান।

বক্তব্যের শুরুতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টের নারকীয় বীভৎসতা বিশ্ববিবেককে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার উস্কানি ও সরাসরি নির্দেশ রয়েছে। এ বিষয়ে তাঁর বহু কল রেকর্ড, অডিও-ভিডিও পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে, প্রায় দেড় হাজার লোককে হত্যা, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে আহত, নারীদের ওপর বিশেষভাবে সহিংসতা চালানো, লাশ একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিতে ও চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতে এবং পোস্টমর্টেম করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, হাসপাতালে শেখ হাসিনা নিজে গিয়ে বলেছিলেন, এসব ভর্তি রোগীর যাতে চিকিৎসা দেওয়া না হয়। রোগীরা যখন যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন, তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। যাতে পচে গেলে কেটে ফেলতে হয়, সে রকম নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিজেদের লোক দিয়ে অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই বিচার শুধু অতীতের প্রতিশোধ নয়। এটি ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা। আমরা প্রমাণ করতে চাই একটি সভ্য সমাজ, যেখানে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন থাকবে। সেখানে গণহত্যা কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধ সহ্য করা হবে না।   
এর আগে ৬ মাস ২৮ দিন তদন্ত শেষে গত ১২ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেখানে দেশজুড়ে মানবাধিকার অপরাধ, হত্যাকাণ্ড, গুলি ও আহত করা এবং লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা তদন্ত করে শেখ হাসিনাকে জুলাই-আগস্টের নৃশংসতার ‘মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।  

পাঁচ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মূলত পাঁচটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে– শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে উস্কানি ও প্ররোচনা দেওয়া। চীন থেকে ফিরে ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শেখ হাসিনা। ওই সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’, ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে লেলিয়ে দেন। আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তাদের অধীনস্ত বাহিনীকে হামলার জন্য ‘সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে নির্দেশ দেন। সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ হিসেবে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, নির্যাতন ও অন্যান্য অমানবিক আচরণ করার অপরাধ করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড করে আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে– জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) এস এম মাকসুদ কামাল ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এসব ফোনকলে আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্র-জনতার ওপর মারণাস্ত্র ব্যবহার করার কথা বলা হয়। নির্দেশ পেয়ে হেলিকপ্টার, ড্রোন, এপিসিসহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলি করা হয়। নিরস্ত্র, নিরীহ আন্দোলনকারী সিভিলিয়ান পপুলেশন, যারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছিলেন, তাদের নির্মূল করতে সরাসরি হত্যার নির্দেশ  দেন। এসব ফোনের অডিও ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। সরাসরি নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বাহিনীকে মারণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দিয়ে প্রায় দেড় ছাত্র-জনতাকে হত্যা এবং ২৫ হাজার মানুষকে আহত করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। আসামিরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন, যা তাদের জ্ঞাতসারে কার্যকর করা হয়েছে।   

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে– গত ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে তার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চারবার বদল করা হয়। এ ঘটনায় আবু সাঈদের সহপাঠীদের আসামি করে মামলাও করে পুলিশ। ‘সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নির্দেশে এই হত্যা, তথ্য গোপন ও মিথ্যা মামলা করা হয়। এসবের নির্দেশ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন তিন আসামি।

চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়েছে– গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা এক দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে আসার সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আনাসসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাদের হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উস্কানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জ্ঞাতসারে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। 
পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়েছে– গত ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে আসার সময় ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে নিরস্ত্র ৬ জনের মৃত্যু হয়। পরে তাদের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাসহ এই তিন আসামি জ্ঞাতসারে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। এই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানায় প্রসিকিউশন।

ট্রাইব্যুনালের গেটে ককটেলসদৃশ বস্তু 
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ২ নম্বর গেটের সামনে থেকে দুটি ‘ককটেলসদৃশ’ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ভোর ৫টার দিকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, ভোরে শিশু একাডেমির পাশে ফুটপাতের ওপর (অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেটের কাছে) ককটেলসদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটে। তবে ককটেলের ভেতর যেসব জিনিস থাকে, তাতে সেসব ছিল না। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আস দ জ জ ম ন খ ন ক ম ল ও আবদ ল ল হ আল ম ম ন ছ ত র জনত র ওপর ম নবত ব র ধ জ ল ই আগস ট ত র ওপর র জন য র সময় তদন ত ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।

প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।

পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—

পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’

আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ