সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের রেশ কাটার আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে খুব একটা লড়াইও করতে পারেনি লিটন দাসের দল। বলা যায়, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ একরকম অসহায় আত্মসমর্পণই করেছে।

এমন বিব্রতকর হোয়াইটওয়াশের পরও অবশ্য ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ইতিবাচক হলো, আমরা চেষ্টা করছিলাম এই উদ্বোধনী জুটিকে কার্যকর করতে। তারা দেখিয়েছে, একসঙ্গে কতটা বিধ্বংসী হতে পারে ওরা।’

এই সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নতুন যাত্রা শুরুর কথা বলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টানা তিন ম্যাচ হেরে বড় ধাক্কাই খেয়েছেন লিটনরা। এ নিয়ে হতাশা থাকলেও সেটা খুব বেশি নয় বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।

আরও পড়ুনবাংলাদেশের সমর্থকদের সরি বললেন লিটন২ ঘণ্টা আগে

সিমন্স আরও যোগ করে বলেন, ‘যেকোনো সিরিজ হারই হতাশাজনক। আমরা চেষ্টা করছি, কিছু জিনিস গড়ে তুলতে ও কিছু ব্যাপার বদলাতে। দলে তরুণ ক্রিকেটার আছে বেশ কজন। হতাশা আছে, তবে ততটা নয়। থিতু হওয়া একটা দল নিয়ে হারলে বরং বেশি হতাশ লাগত।’

বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ ও পারভেজে ইতিবাচক দিক খুঁজছেন সিমন্স.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স মন স

এছাড়াও পড়ুন:

৪২ বছর পর নিউ জিল‌্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল‌্যান্ড

১৯৮৩ সাল আবার মনে করাল ইংল‌্যান্ড। নিউ জিল‌্যান্ডে গিয়ে সেবার ইংল‌্যান্ড ৩-০ ব‌্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ৪২ বছর পর একই অভিজ্ঞতা হলো এবার তাদের।

আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা নিউ জিল‌্যান্ড এবার আরো চেপে ধরেছিল ইংল‌্যান্ডকে। তবুও লড়াই করে ওয়েলিংটনে অতিথিরা ২২২ রানের পুঁজি পায়। হোয়াইটওয়াশের মিশনে থাকা নিউ জিল‌্যান্ডের ব‌্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। লো স্কোরিং ম‌্যাচ জমে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে হাতে ২ উইকেট রেখে লক্ষ‌্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। ১৯৮৩ সালের পর প্রথম নিউ জিল‌্যান্ড ইংল‌্যান্ডকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল।

টস হেরে ব‌্যাটিং করতে নেমে ইংল‌্যান্ড চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ১০২ রানে তাদের শেষ স্বীকৃত ব‌্যাটসম‌্যান জস বাটলার (৩৮) আউট হন। তখন ধারণা করা হচ্ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাবে সাবেক বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়নরা।

কিন্তু সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ব্রাইডন চার্স ও জেমি ওভারটন। দুজন ৫৮ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ব্রাইডন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়ে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন। ইংল‌্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে তাদের ব‌্যাটেই।

শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে ওভারটন আউট হন ৪১তম ওভারে। ৬২ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। এর আগে জেমি স্মিথ (৫), বেন ডাকেট (৮), জো রুট (২) ও হ‌্যারি ব্রুক (৬) দ্রুত আউট হন। দলের প্রথম ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন পাঁচ নম্বরে নামা জ‌্যাকব মিচেল। তবুও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

নিউ জিল‌্যান্ডের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন ব্লায়ার টিকনার। ৩ উইকেট পেয়েছেন জ‌্যাকব টাফি। ২টি পেয়েছেন জ‌্যাক ফলকস।

জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৮ রান পায় কিউইরা। ডেভন কনওয়ে ৩৪ ও রাচীন রাভিন্দ্রা ৪৬ রান করেন। এরপর ছন্দ হারিয়ে ব‌্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ডার্ল মিচেলের অনবদ‌্য ৪৪ ও শেষ দিকে মিচেল স্টানারের ২৭ রানে নিউ জিল‌্যান্ড লড়াইয়ে ফেরে। শেষ দিকে জ‌্যাক ফলকসের ১৪ ও ব্লায়ার টিকনারের ১৮ রানে নিউ জিল‌্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়।

ইংলিশদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও স‌্যাম কারান।

এই সিরিজে ইংল‌্যান্ডের ব‌্যাটিং একটুও ভালো হয়নি। প্রথম ম‌্যাচে ২২৩ ও দ্বিতীয়টিতে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায়। নিউ জিল‌্যান্ড জয় পায় যথাক্রমে ৪ ও ৫ উইকেটে। শেষ ম‌্যাচে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়লেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ইংল‌্যান্ড।

বল হাতে ৪ উইকেট ও ব‌্যাটিংয়ে ১৮ রান করে ম‌্যাচ সেরা নির্বাচিত হন টিকনার। ১৭৮ রান করে সিরিজ সেরা ডার্ল মিচেল।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪২ বছর পর নিউ জিল‌্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল‌্যান্ড
  • হার, হতাশা, হাহাকার