জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা জেলার সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ১১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে রাসেল আহমেদকে প্রধান সমন্বয়কারী, মেহরাব সিফাতকে যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে দোহার, নবাবগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, কেরানীগঞ্জ ও আশুলিয়ার নেতাদের সদস্য করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাসেল আহমেদের গ্রামের বাড়ি দোহার উপজেলার জয়পাড়া এলাকায়। এ ছাড়া যুগ্ম সমন্বয়কারী মেহরাব সিফাতের বাড়ি সাভার উপজেলায়।

এ বিষয়ে রাসেল আহমেদ বলেন, সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে সবাইকে নিয়ে শিগগিরই টিমওয়ারি সফর শুরু করা হবে। সমাজের সব ধরনের বৈষম্য দূর করে রাজনীতিকে জনগণের আস্থার জায়গায় আনতে এনসিপি কাজ করছে।

আরও পড়ুনঢাকা জেলা-মহানগর দক্ষিণ ও পঞ্চগড়ের ৪ উপজেলায় এনসিপির সমন্বয় কমিটি১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমন বয়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ