পাকিস্তানে ভূমিকম্পের সময় কারাগার থেকে পালালো ২ শতাধিক কয়েদি
Published: 3rd, June 2025 GMT
পাকিস্তানের করাচিতে রোববার থেকে পর পর ১৬ বার ভূমিকম্প হয়েছে। দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধে ভূমিকম্পের সময় হৈচৈ-হট্টগোলের ফাঁকে কারাগার থেকে পালিয়েছেন ২ শতাধিক কয়েদি।
সোমবার রাতে সিন্ধের রাজধানী করাচির মালির থেকে পলায়ন করেন ২১৩ জন কয়েদি। খবর জিও নিউজের।
রোববার সকাল থেকে সোমবার সারা রাত দফায় দফায় ভূমিকম্প হচ্ছে করাচি এবং তার আশপাশের এলকায়। একের পর এক কম্পণের ধাক্কা করাচি জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানের ভূতত্ব গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত মোট ১৬ বার ভূমিকম্প হয়েছে করাচিতে।
মালির কারাগারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ভূমিকম্পের সময় কারাগারের কয়েদিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছিল। এ সময় অনেকটা আকস্মিভাবেই কারারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় কয়েদিদের এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কারাগার থেকে পলায়ন করেন ২১৩ জন কয়েদি।
কারাগারসূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলা করেছে মূলত কারাগারের ৪ ও ৫ নম্বর সার্কেলের কয়েদিরা। যারা পলায়ন করেছেন, তাদেরও অধিকাংশ এই দুই সার্কেলের সেলগুলোতে থাকতেন।
সংঘাত-ধস্তাধস্তির সময় কারারক্ষী বাহিনীর গুলিতে একজন কয়েদি মারা গেছেন। অন্যদিকে কয়েদিদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন কারারক্ষী।
মালির কারাগারের সুপারিন্টেডেন্ট আরশাদ শাহ জিও নিউজকে জানিয়েছেন, পালিয়ে যাওয়া এই কয়েদিদের ধরতে পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্স, আধা সামরিক বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কর্পস, স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট এবং র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স (আরআরএফ) সদস্যদের সমন্বয়ে একটি চৌকশ দল গঠন করা হয়েছে এবং দলটি অভিযানও শুরু করেছে।
অভিযানে ইতোমধ্যে ৮০ জন কয়েদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১৩৩ পলাতক কয়েদিকেও শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন আরশাদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কয় দ কয় দ দ র ভ ম কম প স মব র র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
কাক খেলছে ফুটবল
উয়েফা নেশনস লিগ টুর্নামেন্টের উত্তেজনায় কাঁপছে ইউরোপ। ফুটবলের এই মহাদেশীয় আয়োজন ঘিরে ক্রিকেটের দেশ ভারতেও উত্তেজনা একেবারে কম নয়। তবে বর্তমানে ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কাঁপাচ্ছে অন্য এক ফুটবল খেলোয়াড়।
এ ফুটবলার কোনো মানুষ নয়; বরং একটি কাক। কী, শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক করা ঘটনাই বটে। সম্প্রতি ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে এক বালকের সঙ্গে একটি কাককে ফুটবল খেলতে দেখা যাচ্ছে—ভিডিওটি দক্ষিণ গোয়ার।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কাক তার ঠোঁট দিয়ে বল ছেলেটির দিকে ঠেলে দিচ্ছে আর ছেলেটি বল ধরে আলতোভাবে সেটি আবার কাকের দিকে ফেরত পাঠাচ্ছে। দুজনই এভাবে একে অপরের দিকে বল ঠেলে দিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার পর সেটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ সেটি দেখেন এবং মন্তব্য করেন।
কাকটি বল ঠেলে দেওয়ার সময় যেভাবে নিখুঁত গতি ও ভারসাম্য বজায় রাখছে, তা দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিস্মিত ও আনন্দিত।
মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘ভাই, তুমি যেভাবে বল পাস করছ, তা ভারতের জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের চেয়ে ভালো।’
আরেকজন মজা করে লিখেছেন, ‘রোববার কি তোমাকে পাওয়া যাবে? সেদিন আমাদের একটি ম্যাচ আছে, একজন ভালো স্ট্রাইকার দরকার, যিনি মাথা দিয়ে ভালো খেলতে পারেন।’
তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘ক্রোনালদিনহো, ক্রোনেস্তা, ক্রোদিনি, ক্রোদোস্কি, ক্রোমুলার’।
ফুটবল আর পাখির যোগাযোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোর বিজয়ী সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করে আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সিঙ্গাপুরের টিয়া পাখি, যার নাম ‘মানি’।
একজন প্রবীণ ভাগ্যবক্তার পোষা টিয়া ‘মানি’ সম্ভাব্য বিজয়ী দলের জাতীয় পতাকা লাগানো দুটি কার্ডের মধ্যে একটি তুলে নিয়ে ম্যাচের ফলাফল ভবিষ্যদ্বাণী করত।