টিপুকে হত্যায় ওমান থেকে ধরে আনা সেই মুসা নতুন আরেক হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার
Published: 3rd, June 2025 GMT
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে ব্লেড বাবু খুনের ঘটনায় সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল সোমবার তাঁকে মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁকে ব্লেড বাবু হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি।
পুলিশ বলছে, ঢাকার মতিঝিলের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ ঘিরে ২০২২ সালের ২৪ মার্চ খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন সুমন শিকদার ওরফে মুসা। টিপুকে হত্যার পর তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। ওই বছরেরই ৯ জুন পুলিশ তাঁকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৫ মাস পর গত ৩ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্ত হন। ২০ জানুয়ারি ঢাকার পল্লবীতে ব্লেড বাবুকে কুপিয়ে হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন মুসা। তার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
ডিবির মিরপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সোনাহর আলী শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, মুসাকে গ্রেপ্তারের পর ব্লেড বাবু হত্যায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এই হত্যার বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, পল্লবীতে খুন হওয়া মঞ্জুরুল ইসলাম অপরাধজগতে ‘ব্লেড বাবু’ নামে পরিচিত। তিনি পল্লবীতে আলোচিত শাহীন উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি। বাবু খুনের পেছনেও রয়েছে অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ। পল্লবী এলাকার অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ ঘিরে শীর্ষ সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান ওরফে মামুন গ্রুপের সঙ্গে মুসা গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছে। খুনের শিকার বাবু ছিলেন মামুন গ্রুপের সদস্য। আধিপত্য বিস্তার ও অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ ঘিরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। দেশের বাইরে থেকে মিরপুর অঞ্চলের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণকারীদের একজন হলেন মামুন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।
মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।
পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।