ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কী নিয়ে
Published: 4th, June 2025 GMT
ভারতের সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের তামু জেলায় তড়িঘড়ি শেষকৃত্যের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। ত্রিপলের ওপর পাশাপাশি রাখা কয়েকজন পুরুষ ও কিশোরের মরদেহ। রক্তমাখা সামরিক পোশাক পরিহিত মরদেহগুলো কালো হয়ে ফুলে উঠেছে। সেগুলোর ওপর মাছি ঘুরছে। গুঁড়ি দিয়ে তৈরি গণচিতায় দাহ করা হবে সেগুলো।
গত ১৪ মে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে মিয়ানমারের পা কা ফায়ের (পিকেপি) ১০ সদস্য নিহত হন। তাঁদের মধ্যে তিনজন কিশোর। দাহ করার জন্য রাখা ওই মরদেহগুলো এই ব্যক্তিদের। পিকেপি দেশটির পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের (পিডিএফ) অংশ।
২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানে অং সান সু চির দলের সরকার উৎখাত হওয়ার পর ওই সরকারে থাকা দল ও ব্যক্তিরা মিলে গঠন করে জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি)। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি এনইউজির গঠন করা সশস্ত্র বাহিনী ‘পিডিএফ’ লড়াই করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও যুদ্ধ-সংঘাত পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন, সর্বশেষ সেনা অভ্যুত্থানের পর ভারতের সঙ্গে মিয়ানমারের প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে সক্রিয় মিয়ানমারের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর একধরনের বোঝাপড়া গড়ে উঠেছিল। এর আওতায় উভয় পক্ষই কার্যত একে অপরের বিষয়ে নাক না গলানোর নীতি অনুসরণ করত।ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে, সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত আছে সন্দেহে ১৪ মে উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের সীমান্তচৌকিতে টহল দেওয়া আধা সামরিক বাহিনী আসাম রাইফেলসের (এআর) একটি ব্যাটালিয়ন যুদ্ধসরঞ্জাম বহনকারী ১০ সশস্ত্র ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে।
ভারতীয় ওই সেনারা মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মণিপুর রাজ্যের চান্দেল জেলায় মোতায়েন ছিলেন—এটি মিয়ানমারের তামু জেলা লাগোয়া।
দুই বছর ধরে মণিপুরে জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত চলছে এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রায়ই মিয়ানমার থেকে আসা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ওই উত্তেজনা উসকে দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে।
জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেওয়া বিদ্রোহী যোদ্ধাদের বেশির ভাগই তরুণ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কী নিয়ে
ভারতের সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের তামু জেলায় তড়িঘড়ি শেষকৃত্যের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। ত্রিপলের ওপর পাশাপাশি রাখা কয়েকজন পুরুষ ও কিশোরের মরদেহ। রক্তমাখা সামরিক পোশাক পরিহিত মরদেহগুলো কালো হয়ে ফুলে উঠেছে। সেগুলোর ওপর মাছি ঘুরছে। গুঁড়ি দিয়ে তৈরি গণচিতায় দাহ করা হবে সেগুলো।
গত ১৪ মে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে মিয়ানমারের পা কা ফায়ের (পিকেপি) ১০ সদস্য নিহত হন। তাঁদের মধ্যে তিনজন কিশোর। দাহ করার জন্য রাখা ওই মরদেহগুলো এই ব্যক্তিদের। পিকেপি দেশটির পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের (পিডিএফ) অংশ।
২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানে অং সান সু চির দলের সরকার উৎখাত হওয়ার পর ওই সরকারে থাকা দল ও ব্যক্তিরা মিলে গঠন করে জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি)। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি এনইউজির গঠন করা সশস্ত্র বাহিনী ‘পিডিএফ’ লড়াই করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও যুদ্ধ-সংঘাত পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন, সর্বশেষ সেনা অভ্যুত্থানের পর ভারতের সঙ্গে মিয়ানমারের প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে সক্রিয় মিয়ানমারের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর একধরনের বোঝাপড়া গড়ে উঠেছিল। এর আওতায় উভয় পক্ষই কার্যত একে অপরের বিষয়ে নাক না গলানোর নীতি অনুসরণ করত।ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে, সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত আছে সন্দেহে ১৪ মে উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের সীমান্তচৌকিতে টহল দেওয়া আধা সামরিক বাহিনী আসাম রাইফেলসের (এআর) একটি ব্যাটালিয়ন যুদ্ধসরঞ্জাম বহনকারী ১০ সশস্ত্র ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে।
ভারতীয় ওই সেনারা মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মণিপুর রাজ্যের চান্দেল জেলায় মোতায়েন ছিলেন—এটি মিয়ানমারের তামু জেলা লাগোয়া।
দুই বছর ধরে মণিপুরে জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত চলছে এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রায়ই মিয়ানমার থেকে আসা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ওই উত্তেজনা উসকে দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে।
জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেওয়া বিদ্রোহী যোদ্ধাদের বেশির ভাগই তরুণ