সময় পেলেই রান্না করি, পাহাড় আমার খুবই প্রিয়: মন্দিরা
Published: 4th, June 2025 GMT
মন্দিরা চক্রবর্তী। চিত্রনায়িকা। মডেলিং দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও খুব অল্প সময়েই নিজেকে প্রমাণ করেছেন বড় পর্দায়। সর্বশেষ তাঁর অভিনীত ছবি ‘কাজলরেখা’ সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবার আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি ‘নীলচক্র’, পরিচালনায় আছেন মিঠু খান। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। নতুন সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
‘নীলচক্র’ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমা মুক্তির আগের ঠিক এই সময়টাতে কেমন অনুভূতি হয়?
অনুভূতিটা অন্যরকম। এটা বলে বুঝানোর মতো না। তবে কিছুটা না নার্ভাস লাগে। দর্শকদের কেমন লাগবে, তারা আমার চরিত্রটি বা সিনেমাটি কীভাবে নেবে এসব চিন্তা ভর করে। এ ছাড়াও এ সময়টা সিনেমার প্রচারণা নিয়ে খুবই ব্যস্ত থাকতে হয়। সেটা আমার প্রথম সিনেমা কাজলরেখার সময়ও ছিল। নীলচক্রের সময়ও ফেস করছি। এ ব্যস্ততার কারণে চিন্তাগুলো খুব বেশি ক্ষণস্থায়ী হতে পারে না।
‘নীলচক্র’ আপনার দ্বিতীয় সিনেমা। এ সিনেমায় আপনাকে কেমন চরিত্রে পাওয়া যাবে?
‘নীলচক্র’ আমার জন্য অনেক স্পেশাল। শুধু সিনেমার চরিত্রের জন্য না; বরং এ ছবিটা এক ধরনের ইমোশনাল জার্নি ছিল আমার জন্য। ছবিটিতে আমার চরিত্রের নাম রাইমা। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। একজন নাচের শিক্ষক। বাস্তবেও নাচের মেয়ে আমি। তাই চরিত্রটি নিয়ে দারুণ ভালোলাগা ও মুগ্ধতা জড়িয়ে আছে। পরিচালক মিঠু খান দারুণভাবে সিনেমার গল্পটা উপস্থাপন করেছেন।
শুরুতেই বলেছিলেন আরিফিন শুভ আপনার ছোটবেলার ক্রাশ। তো সিনেমায় ক্রাশের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
একদম সত্যি, আরিফিন শুভ ভাই ছিলেন আমার টিনএজ ক্রাশ। সে সময় সিনেমায় তাঁকে দেখে মুগ্ধ হতাম। কখনও ভাবিনি, একদিন তাঁর বিপরীতে কাজ করার সুযোগ পাব। প্রথমে একটু নার্ভাস লাগছিল, কিন্তু শুভ এতটাই কো-অপারেটিভ আর গ্রাউন্ডেড যে, খুব দ্রুতই আমি কমফোর্ট ফিল করেছি। তিনি শুধু ভালো অভিনেতা নন, একজন দারুণ মানুষও।
‘নীলচক্র’-এর কোন দৃশ্যটি করতে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল?
একটা ক্লাইম্যাক্স সিন ছিল, যেখানে আমার চরিত্রটা ভীষণ ইমোশনাল অবস্থায় পড়ে। পুরো সিনটা টানা ওয়ানে শুট করা হয়, কোনো কাট ছাড়াই। আমাকে কান্না, রাগ, হতাশা সব একসঙ্গে প্রকাশ করতে হয়েছিল। ওই সিনটা করতে গিয়ে আমি সত্যিই কেঁদে ফেলেছিলাম, কারণ চরিত্রটা আমাকে এতটাই ছুঁয়ে গিয়েছিল।
ছবিটি নিয়ে দর্শকদের জন্য কী বার্তা থাকবে?
‘নীলচক্র’ শুধু একটি থ্রিলার না, এটি সাম্প্রতিক সময়ের সমাজের চিত্রও। এখানে নারীর সংগ্রাম, নৈতিকতা, ভালোবাসা ও বিশ্বাসঘাতকতার চমৎকার মিশেল রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই সিনেমা দর্শকদের ভাবাবে, প্রশ্ন করবে এবং বিনোদনও দেবে।
আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কী?
আমি একটু বেছে বেছে কাজ করতে চাই। গল্প আর চরিত্র দুটোই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি চ্যালেঞ্জিং রোল করতে চাই, যেগুলো দর্শকদের মনে থাকবে।
ব্যক্তিজীবনে অভিনয়ের বাইরে কী করতে ভালো লাগে?
আমি বই পড়তে ভালোবাসি, বিশেষ করে আত্মজীবনী। সময় পেলে রান্না করি, আর আমার বিড়ালটা নিয়ে অনেকটা সময় কেটে যায় (হাসি)। ভ্রমণ করতে খুব ভালো লাগে, পাহাড় আমার সবচেয়ে প্রিয়।
শেষ প্রশ্ন, ঈদের পরিকল্পনা?
নীলচক্রের জন্য এই ঈদটা আমার কাছে অনেক বেশি স্পেশাল। পরিবার আর কাছের বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটা দেখার প্ল্যান আছে। আশা করি দর্শকও হলে গিয়ে ছবিটা দেখবে এবং আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম আর ফ ন শ ভ ম র চর ত র ন লচক র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সময় পেলেই রান্না করি, পাহাড় আমার খুবই প্রিয়: মন্দিরা
মন্দিরা চক্রবর্তী। চিত্রনায়িকা। মডেলিং দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও খুব অল্প সময়েই নিজেকে প্রমাণ করেছেন বড় পর্দায়। সর্বশেষ তাঁর অভিনীত ছবি ‘কাজলরেখা’ সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবার আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি ‘নীলচক্র’, পরিচালনায় আছেন মিঠু খান। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। নতুন সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
‘নীলচক্র’ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমা মুক্তির আগের ঠিক এই সময়টাতে কেমন অনুভূতি হয়?
অনুভূতিটা অন্যরকম। এটা বলে বুঝানোর মতো না। তবে কিছুটা না নার্ভাস লাগে। দর্শকদের কেমন লাগবে, তারা আমার চরিত্রটি বা সিনেমাটি কীভাবে নেবে এসব চিন্তা ভর করে। এ ছাড়াও এ সময়টা সিনেমার প্রচারণা নিয়ে খুবই ব্যস্ত থাকতে হয়। সেটা আমার প্রথম সিনেমা কাজলরেখার সময়ও ছিল। নীলচক্রের সময়ও ফেস করছি। এ ব্যস্ততার কারণে চিন্তাগুলো খুব বেশি ক্ষণস্থায়ী হতে পারে না।
‘নীলচক্র’ আপনার দ্বিতীয় সিনেমা। এ সিনেমায় আপনাকে কেমন চরিত্রে পাওয়া যাবে?
‘নীলচক্র’ আমার জন্য অনেক স্পেশাল। শুধু সিনেমার চরিত্রের জন্য না; বরং এ ছবিটা এক ধরনের ইমোশনাল জার্নি ছিল আমার জন্য। ছবিটিতে আমার চরিত্রের নাম রাইমা। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। একজন নাচের শিক্ষক। বাস্তবেও নাচের মেয়ে আমি। তাই চরিত্রটি নিয়ে দারুণ ভালোলাগা ও মুগ্ধতা জড়িয়ে আছে। পরিচালক মিঠু খান দারুণভাবে সিনেমার গল্পটা উপস্থাপন করেছেন।
শুরুতেই বলেছিলেন আরিফিন শুভ আপনার ছোটবেলার ক্রাশ। তো সিনেমায় ক্রাশের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
একদম সত্যি, আরিফিন শুভ ভাই ছিলেন আমার টিনএজ ক্রাশ। সে সময় সিনেমায় তাঁকে দেখে মুগ্ধ হতাম। কখনও ভাবিনি, একদিন তাঁর বিপরীতে কাজ করার সুযোগ পাব। প্রথমে একটু নার্ভাস লাগছিল, কিন্তু শুভ এতটাই কো-অপারেটিভ আর গ্রাউন্ডেড যে, খুব দ্রুতই আমি কমফোর্ট ফিল করেছি। তিনি শুধু ভালো অভিনেতা নন, একজন দারুণ মানুষও।
‘নীলচক্র’-এর কোন দৃশ্যটি করতে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল?
একটা ক্লাইম্যাক্স সিন ছিল, যেখানে আমার চরিত্রটা ভীষণ ইমোশনাল অবস্থায় পড়ে। পুরো সিনটা টানা ওয়ানে শুট করা হয়, কোনো কাট ছাড়াই। আমাকে কান্না, রাগ, হতাশা সব একসঙ্গে প্রকাশ করতে হয়েছিল। ওই সিনটা করতে গিয়ে আমি সত্যিই কেঁদে ফেলেছিলাম, কারণ চরিত্রটা আমাকে এতটাই ছুঁয়ে গিয়েছিল।
ছবিটি নিয়ে দর্শকদের জন্য কী বার্তা থাকবে?
‘নীলচক্র’ শুধু একটি থ্রিলার না, এটি সাম্প্রতিক সময়ের সমাজের চিত্রও। এখানে নারীর সংগ্রাম, নৈতিকতা, ভালোবাসা ও বিশ্বাসঘাতকতার চমৎকার মিশেল রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই সিনেমা দর্শকদের ভাবাবে, প্রশ্ন করবে এবং বিনোদনও দেবে।
আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কী?
আমি একটু বেছে বেছে কাজ করতে চাই। গল্প আর চরিত্র দুটোই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি চ্যালেঞ্জিং রোল করতে চাই, যেগুলো দর্শকদের মনে থাকবে।
ব্যক্তিজীবনে অভিনয়ের বাইরে কী করতে ভালো লাগে?
আমি বই পড়তে ভালোবাসি, বিশেষ করে আত্মজীবনী। সময় পেলে রান্না করি, আর আমার বিড়ালটা নিয়ে অনেকটা সময় কেটে যায় (হাসি)। ভ্রমণ করতে খুব ভালো লাগে, পাহাড় আমার সবচেয়ে প্রিয়।
শেষ প্রশ্ন, ঈদের পরিকল্পনা?
নীলচক্রের জন্য এই ঈদটা আমার কাছে অনেক বেশি স্পেশাল। পরিবার আর কাছের বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটা দেখার প্ল্যান আছে। আশা করি দর্শকও হলে গিয়ে ছবিটা দেখবে এবং আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।