ঈদের আগে হঠাৎ দ্বিগুণ শসার দাম, কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে
Published: 6th, June 2025 GMT
কোরবানি ঈদের আগে হঠাৎ বেড়েছে শসার দাম। তিন–চার দিনের ব্যবধানে শসার দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কাঁচা মরিচ, গাজর, টমেটো ও লেবুর দামও।
মূলত ঈদের সময় সালাদের জন্য শসা, গাজর, টমেটো, কাঁচা মরিচ প্রভৃতি পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু সরবরাহ স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়ে না। এ কারণে পণ্যগুলোর দামও বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগেও বাজারে প্রতি কেজি হাইব্রিড জাতের শসা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। তবে আজ শুক্রবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি হাইব্রিড শসা বিক্রি হয় ১০০ টাকায়। অন্যদিকে এক সপ্তাহ আগে খুচরায় দেশি জাতের প্রতি কেজি শসার দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সেই শসা আজ শুক্রবার বিক্রি হয় বাজারভেদে ১২০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকায়; অর্থাৎ কয়েক দিনের ব্যবধানে শসার দাম বেড়ে দ্বিগুণ বা তার বেশি বেড়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে বাজারের এই চিত্র পাওয়া গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শসার সরবরাহ আগের মতোই রয়েছে। তবে ঈদের কারণে হঠাৎ করে শসার চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই সুযোগে কৃষক থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত সরবরাহ শৃঙ্খলের সবাই কিছু কিছু দাম বাড়িয়েছেন। তাতে শেষ পর্যন্ত শসার দাম বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। শসার পাশাপাশি কাঁচা মরিচের দামও বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই দাম বেড়ে আজ শুক্রবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়।
কোরবানির এই সময়ে সালাদ অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়। আর সালাদ তৈরিতে শসা, কাঁচা মরিচের পাশাপাশি গাজরও ব্যবহার করা হয়। আবার অনেকে ঈদের দিন গাজর দিয়ে নানা স্বাদের খাবার তৈরি করে থাকেন। এ কারণে বাজারে গাজরের চাহিদাও হঠাৎ করে বেড়েছে। বাজারে দেশি ও হাইব্রিড (চায়না)—এই দুই জাতের গাজর পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়; আর হাইব্রিড গাজরের কেজি আরও বেশি, ১৩০–১৬০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও উভয় ধরনের গাজর বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।
সাধারণ মানের টমেটোর দামও ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি টমেটো ৮০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৮০ টাকার কম বাজারে কোনো টমেটো পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে দুই মাস ধরে ২০–৩০ টাকায় এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছিল। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে লেবুর দামও হঠাৎ করে হালিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে গেছে।
তবে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি, ফার্মের মুরগির ডিম এবং গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০–১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০–২৮০ টাকা এবং এক ডজন ডিম ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আজ রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে শসা, টমোটো কিনতে যান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী রেদোয়ান ইসলাম। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন অফিসের কাজের চাপে বাজার করতে পারিনি। আজ বাজারে এসে দেখি, সালাদের জন্য দরকারি প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। চাহিদা বাড়লে দাম কিছুটা বাড়ে, তাই বলে এতটা দাম বাড়বে, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১০০ ট ক সরবর হ ৮০ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
বন্যা মোকাবিলায় ঘাটতি সাড়ে ৫ কোটি ডলার: ডব্লিউএফপি
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এই জরুরি পরিস্থিতিতে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মাঠে নেমেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ২০২৫ সালে বন্যা মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়েছে সাড়ে ৫ কোটি ডলার। তবে এর মধ্যেও সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জরুরি চাহিদা পূরণে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছে ডাবলুএফপি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকায় ডব্লিউএফপির কার্যালয়। এতে জানানো হয়, ২৯ মে সরকারের অনুরোধে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় বন্যার পূর্বাভাস জারির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডব্লিউএফপি আগাম সহায়তা কার্যক্রম চালু করেছে।
এই কার্যক্রমের আওতায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবারের প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে খাদ্য, জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার পাশাপাশি নিজেদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা রক্ষায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পেরেছেন পরিবারগুলো।
ডব্লিউএফপির আগাম আর্থিক সহায়তার উপকারভোগী নুরুল বেগম বলেন, আগের বন্যাগুলোতে কখনো কোনো আর্থিক সাহায্য পাইনি। এবার এই টাকা দিয়ে আমি আমার সন্তানদের খাবার কিনব, আমার ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করব এবং ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রাখব। এই সহযোগিতার জন্য ডব্লিউএফপিকে ধন্যবাদ।
ডব্লিউএফপির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি বলেন, জলবায়ুজনিত দুর্যোগ সবসময়ই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা জনগোষ্ঠীর ওপর। আমাদের আগাম পদক্ষেপ নেওয়ায় এসব পরিবার দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃঢ়তা ও মর্যাদার সাথে নিজেদের প্রস্তুত করতে পেরেছে।
২০২৫ সালে জলবায়ুজনিত সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএফপি একটি চারধাপের জরুরি প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– দুর্যোগের আগে আগাম প্রস্তুতি, দুর্যোগের পরপরই জরুরি খাদ্য সরবরাহ, বাজার সচল হলে আর্থিক সহায়তা এবং নগদ অর্থের বিনিময়ে কাজসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ডব্লিউএফপি ৬০ লাখের বেশি দুর্যোগ প্রবণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে বর্তমানে ৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল ঘাটতি রয়েছে, যার বেশিরভাগই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন।
ডম স্ক্যালপেলি আরও বলেন, আগাম প্রস্তুতির ফলে পরিবারগুলো খাদ্য সংগ্রহ ও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছে। কিন্তু এই উদ্যোগের জন্য সময় ও সম্পদ খুবই সীমিত। আমরা আমাদের অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে তারা দ্রুত ও বৃহৎ পরিসরে আমাদের পাশে দাঁড়ান এবং পরবর্তী বন্যার আগেই মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করেন।
ডব্লিউএফপির এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের বৃহত্তর জাতীয় পর্যায়ের আগাম প্রস্তুতির অংশ। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন, কেয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন, স্টেপ এবং স্টার্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা মিলে ১৫টির বেশি আগাম প্রস্তুতি কাঠামো কার্যকর করে। ২০২৫ সালে ৪৬টি সংস্থা এই ধরনের কাঠামো বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভূমিধস, খরা ও তাপপ্রবাহসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
ডব্লিউএফপির এই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে সার্বিকভাবে সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক দাতা সংস্থা। জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলোর বহুপাক্ষিক সহযোগিতাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে, যেখানে ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী বসবাস করেন, টানা ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৩৩টি শিবিরের সবগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডব্লিউএফপির এ শিবিরগুলোতে স্থানচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট ও গরম খাবার সরবরাহ করছে। বাংলাদেশে স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে ব্যবহৃত অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টি বিস্কুটের স্থানীয় মজুদ পুনরায় পূরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২০ লাখ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকায় ডব্লিউএফপির কার্যালয়। এতে জানানো হয়, ২৯ মে সরকারের অনুরোধে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় বন্যার পূর্বাভাস জারির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডব্লিউএফপি আগাম সহায়তা কার্যক্রম চালু করেছে।
এই কার্যক্রমের আওতায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবারের প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে খাদ্য, জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার পাশাপাশি নিজেদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা রক্ষায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পেরেছেন পরিবারগুলো।
ডব্লিউএফপির আগাম আর্থিক সহায়তার উপকারভোগী নুরুল বেগম বলেন, আগের বন্যাগুলোতে কখনো কোনো আর্থিক সাহায্য পাইনি। এবার এই টাকা দিয়ে আমি আমার সন্তানদের খাবার কিনব, আমার ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করব এবং ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রাখব। এই সহযোগিতার জন্য ডব্লিউএফপিকে ধন্যবাদ।
ডব্লিউএফপির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি বলেন, জলবায়ুজনিত দুর্যোগ সবসময়ই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা জনগোষ্ঠীর ওপর। আমাদের আগাম পদক্ষেপ নেওয়ায় এসব পরিবার দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃঢ়তা ও মর্যাদার সাথে নিজেদের প্রস্তুত করতে পেরেছে।
২০২৫ সালে জলবায়ুজনিত সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএফপি একটি চারধাপের জরুরি প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– দুর্যোগের আগে আগাম প্রস্তুতি, দুর্যোগের পরপরই জরুরি খাদ্য সরবরাহ, বাজার সচল হলে আর্থিক সহায়তা এবং নগদ অর্থের বিনিময়ে কাজসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ডব্লিউএফপি ৬০ লাখের বেশি দুর্যোগ প্রবণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে বর্তমানে ৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল ঘাটতি রয়েছে, যার বেশিরভাগই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন।
ডম স্ক্যালপেলি আরও বলেন, আগাম প্রস্তুতির ফলে পরিবারগুলো খাদ্য সংগ্রহ ও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছে। কিন্তু এই উদ্যোগের জন্য সময় ও সম্পদ খুবই সীমিত। আমরা আমাদের অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে তারা দ্রুত ও বৃহৎ পরিসরে আমাদের পাশে দাঁড়ান এবং পরবর্তী বন্যার আগেই মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করেন।
ডব্লিউএফপির এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের বৃহত্তর জাতীয় পর্যায়ের আগাম প্রস্তুতির অংশ। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন, কেয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন, স্টেপ এবং স্টার্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা মিলে ১৫টির বেশি আগাম প্রস্তুতি কাঠামো কার্যকর করে। ২০২৫ সালে ৪৬টি সংস্থা এই ধরনের কাঠামো বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভূমিধস, খরা ও তাপপ্রবাহসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
ডব্লিউএফপির এই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে সার্বিকভাবে সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক দাতা সংস্থা। জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলোর বহুপাক্ষিক সহযোগিতাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে, যেখানে ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী বসবাস করেন, টানা ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৩৩টি শিবিরের সবগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডব্লিউএফপির এ শিবিরগুলোতে স্থানচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট ও গরম খাবার সরবরাহ করছে। বাংলাদেশে স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে ব্যবহৃত অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টি বিস্কুটের স্থানীয় মজুদ পুনরায় পূরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২০ লাখ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে।