চকরিয়ায় গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের ঘেরে ডাকাতি, মাছ লুট
Published: 11th, June 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিংড়ি জোনের রামপুর মৌজায় অবস্থিত গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের ৩০০ একরের একটি ঘেরে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে খামারের তিন কর্মচারী আহত হন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আহত কর্মচারীরা হলেন মোজাম্মেল হক, নাসির উদ্দিন ও মো. মিজান। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানান খামারের লোকজন।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ পরিবারের একটি প্রতিষ্ঠান। এই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক উৎপল কান্তি চৌধুরী বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ৭-৮ জন সশস্ত্র ব্যক্তি গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের খামারে ঢোকেন। এ সময় খামারের কর্মচারীদের জিম্মি করে হিমাগার থেকে ৫০ হাজার টাকার প্যাকেটজাত মাছ, কর্মচারীদের দুটি মুঠোফোন ও ছয়টি টর্চলাইট লুট করেন সশস্ত্র ব্যক্তিরা। মাছ ও মালামাল লুটে বাধা দিলে কর্মচারীদের মারধর করা হয়। এতে তিনজন কর্মচারী আহত হন। উৎপল কান্তি আরও বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিদের প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র ছিল।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর খামারের ব্যবস্থাপক পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই স্মৃতিচারন: মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি
গত জুলাইয়ের আজকের এই দিনে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গনহত্যা, গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সারাদেশে “মার্চ ফর জাস্টিস" কর্মসূচির ঘোষনা দিয়েছিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তাদের সাথে একাত্মতা পোষন করে সেদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। যৌক্তিক দাবিতে সেদিন নারায়ণগঞ্জের রাজপথেও নেমেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সেইদিনের সৃতিচারন করতে গিয়ে একটি বেসরকারি ইন্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক আব্দুর রাহমান গাফফারি জানান, “স্টুডেন্টরা তুলনামূলক কম উপস্থিত থাকায় সেদিন তারাতাড়ি কলেজ ছুটি হয়ে যায়, তবে আমরা ব্যাগে করে দু টুকরো লাল কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম, ছুটি যদি নাও হয় আমরা লিভ নিয়ে শিক্ষকরা মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে আংশগ্রহন করবো।
তারপর কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পদযাত্রায় বের হই এবং সাইনবোর্ডে অবস্থান করি এবং আন্দোলনরতদের মাঝে বিক্সুট ও পানি বিতরন করি। বিকেল ৪ টায় ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তীদিনের “রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস" কর্মসূচিতে যোগ দিতে বলে উৎসাহ দিয়ে কর্মসূচি শেষ করি।"