কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিংড়ি জোনের রামপুর মৌজায় অবস্থিত গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের ৩০০ একরের একটি ঘেরে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে খামারের তিন কর্মচারী আহত হন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

আহত কর্মচারীরা হলেন মোজাম্মেল হক, নাসির উদ্দিন ও মো. মিজান। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানান খামারের লোকজন।

প্রসঙ্গত, গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ পরিবারের একটি প্রতিষ্ঠান। এই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক উৎপল কান্তি চৌধুরী বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ৭-৮ জন সশস্ত্র ব্যক্তি গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের খামারে ঢোকেন। এ সময় খামারের কর্মচারীদের জিম্মি করে হিমাগার থেকে ৫০ হাজার টাকার প্যাকেটজাত মাছ, কর্মচারীদের দুটি মুঠোফোন ও ছয়টি টর্চলাইট লুট করেন সশস্ত্র ব্যক্তিরা। মাছ ও মালামাল লুটে বাধা দিলে কর্মচারীদের মারধর করা হয়। এতে তিনজন কর্মচারী আহত হন। উৎপল কান্তি আরও বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিদের প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র ছিল।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর খামারের ব্যবস্থাপক পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ