ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার তদন্ত ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। 

বুধবার বেলা ১১টা শহরের নলডাঙ্গা সড়কে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের গত নির্বাচনী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সংবাদ  সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৩০ মে  সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালনে জামাল ইউনিয়ন বিএনপি দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি নেয়। বিএনপির ওই অনুষ্ঠান পণ্ড করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও চরমপন্থি নেতা নজরুল মোল্যা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ও জামায়াত অনুসারী ইউনুচ আলীর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ সন্ত্রাসী এলাকায় মহড়া দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। এর জেরে গত ১ জুন জামাল ইউনিয়নের নাকোবাড়িয়া পারখালকুলা গ্রামে এলাকাবাসীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ হয়। এতে দু’জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।  সন্ত্রাসীদের দ্বারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে বিএনপি নেতারা একাধিকবার থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন। কিন্তু পুলিশ তাদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ঘটনা তদন্তের মাথ্যমে বিচারের দাবি জানান বিএনপি নেতা ইলিয়াস রহমান।     

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা দাবি করেন, সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও চারবারের ইউপি চেয়ারম্যান ডা.

নুরুল ইসলামের নামে থানায় একটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম সাইদুল, পৌর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক জবেদ আলী, অহেদ লস্কার, আনোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা লুৎফর রহমান লেন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ ব এনপ ব এনপ র ল ইসল ম স ঘর ষ রহম ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, আশার আলো। শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।

নেতারা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তারা বলেন, আজকের এই বৈঠক যেন শুধু কথার কথা না থাকে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, বাংলাদেশের, জনগণের।

বিবৃতিতে সই করেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার,  এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বজাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) স-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ