লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে সাতজনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে পাঠানো হয়। ওই সীমান্তের বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করে।

বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪৭ নম্বরের বাংলাদেশের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী পকেট সীমান্ত ও বিপরীতে ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জের পানিশালা সীমান্ত। এ সীমান্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের ১৫৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের সদস্যরা তিনজন শিশু, দু’জন নারী ও দু’জন পুরুষকে পুশইন করে। 

আটকরা হলেন, বজলার রহমানের ছেলে আনারুল ইসলাম (৪২), তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন (৩৬), ছেলে আব্দুর রশিদ (২২), মেয়ে আরফিনা খাতুন (১৮), ছেলে মুসা (৯), মেয়ে মারিয়াম (৫) ও ছোট ছেলে আল আমিন (২) ।

বাংলাদেশের এক কিলোমিটারের ভেতরে আউলিয়ারহাট বাজারে শিশুদের নিয়ে পুশইনের শিকার নারী ও পুরুষেরা এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা করার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটক করে বিজিবিকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিজিবি রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) ঝালঙ্গী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে নিয়ে যায়। উভয় সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি-বিএসএফ) সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

এ বিষয়ে বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি সদরের কমান্ডার সুবেদার হাফিজুল ইসলাম হাফিজ পুশইনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ প শইন প শইন

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বরিশালে বাবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৭
  • চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মিছিলে ধাওয়া দিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী