পাটগ্রাম সীমান্তে নারী-শিশুসহ সাতজনকে পুশইন
Published: 12th, June 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে সাতজনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে পাঠানো হয়। ওই সীমান্তের বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করে।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪৭ নম্বরের বাংলাদেশের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী পকেট সীমান্ত ও বিপরীতে ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জের পানিশালা সীমান্ত। এ সীমান্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের ১৫৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের সদস্যরা তিনজন শিশু, দু’জন নারী ও দু’জন পুরুষকে পুশইন করে।
আটকরা হলেন, বজলার রহমানের ছেলে আনারুল ইসলাম (৪২), তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন (৩৬), ছেলে আব্দুর রশিদ (২২), মেয়ে আরফিনা খাতুন (১৮), ছেলে মুসা (৯), মেয়ে মারিয়াম (৫) ও ছোট ছেলে আল আমিন (২) ।
বাংলাদেশের এক কিলোমিটারের ভেতরে আউলিয়ারহাট বাজারে শিশুদের নিয়ে পুশইনের শিকার নারী ও পুরুষেরা এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা করার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটক করে বিজিবিকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিজিবি রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) ঝালঙ্গী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে নিয়ে যায়। উভয় সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি-বিএসএফ) সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
এ বিষয়ে বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি সদরের কমান্ডার সুবেদার হাফিজুল ইসলাম হাফিজ পুশইনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।