ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরা হলো না খোকনের
Published: 12th, June 2025 GMT
ঈদের ছুটিতে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়িতে। সেখান থেকে কর্মস্থলে ফেরা হলো না খাকন মিয়ার (২৮)। পথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন তিনি। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপস, ট্রাফিক- উত্তর) আরাফাতুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ৩টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে বাইপাইলের এসএ পরিবহনের গলি থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি জব্দ হয়েছে।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১
যশোরে বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
গ্রেপ্তার ব্যক্তি নাম মো.
নিহত খোকন মিয়ার বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার বালুয়া ভাটারপাড়া গ্রামে। তিনি আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন এবং স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, “খোকন মিয়া পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে গত মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে ৩টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় এসে বাস থেকে নামেন। এসময় ছিনতাইকারী খোকনের স্ত্রীকে চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটি স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খোকন মিয়া ছিনতাইকারীকে ঝাপটে ধরেন। ছিনতাইকারী চাকু দিয়ে খোকন মিয়ার বুকে ও বাম বগলের নিচে আঘাত করে। এতে তিনি মারা যান।”
তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে। তাকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হবে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।