নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন স্তরে মোট চারটি কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ জুন) এ কাউন্সিল গঠনের বিষয়টি জানিয়েছেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনে এবং সার্বিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নোবিপ্রবি প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। কমিটির সুপারিশক্রমে ৩৩টি বিভাগ, সাতটি অনুষদ ও দুইটি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রসংসদসহ বিভিন্ন স্তরের মোট চারটি কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারে যন্ত্র আছে, সেবা নেই

নোবিপ্রবির রিসার্চ সেলে ৪৩ লাখ টাকা গড়মিল তদন্তে কমিটি

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বর্ষে  সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘স্টুডেন্ট কাউন্সিল’, বিভিন্ন বিভাগের ও ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বর্ষের সিআর প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘সিআর কাউন্সিল’, বিশ্ববিদ্যালয়ের  ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রে নিবন্ধিত বিভিন্ন ক্লাব ও সোসাইটির প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘ক্লাব কাউন্সিল’ এবং শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ গঠন করা হবে।”

তিনি আরো বলেন, “চারটি কাউন্সিলের মধ্যে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে ২০০৮ সালে ষষ্ঠ রিজেন্ট বোর্ডে নীতিমালা প্রকাশ করে। তাই কিছু সংশোধন করে এটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। বাকি সি আর কাউন্সিল, ক্লাব কাউন্সিল এবং কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের বিষয়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় বর্তমান প্রশাসন তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নীতিমালা প্রণয়ন করে বাকি কাউন্সিলগুলোও গঠন করা হবে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য ন ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া প্রশ্নে রুল

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন। একই সঙ্গে যেকোনো অপারেটরকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব (নিযুক্ত) দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি অনুসারে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক বিডিং (দরপত্র আহ্বান) নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

আরও পড়ুননতুন ব্যবস্থাপনায় নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনা শুরু০৭ জুলাই ২০২৫

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন রিটটি করেন। রিটে নৌসচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।

‘নিউমুরিং টার্মিনালে সবই আছে, তবু কেন বিদেশির হাতে যাচ্ছে’ শিরোনামে গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ প্রতিবেদনসহ এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এনসিটি পরিচালনায় ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।

আগের ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত ২৩ জুলাই আদেশের জন্য দিন রাখেন। ধার্য তারিখে আদালত আদেশের জন্য ৩০ জুলাই দিন রাখেন। এ অনুসারে আজ বিষয়টি আদেশের জন্য আদালতের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর আদালত আদেশ দেন। আদালত বলেন, শুধু রুল দেওয়া হলো।

আদেশের সময় রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আহসানুল করিম এবং আইনজীবী কায়সার কামাল ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার নতুন দায়িত্ব নিয়েছে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড। টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৬ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ দায়িত্ব নেয় জাহাজ মেরামতের এ প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো বন্দরে টার্মিনাল পরিচালনায় যুক্ত হলো চিটাগং ড্রাইডক।

চট্টগ্রাম বন্দরের বৃহৎ এই টার্মিনাল নির্মিত হয় ২০০৭ সালে। টার্মিনালটি নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে মোট ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কনটেইনারের সিংহভাগ এই টার্মিনাল দিয়ে পরিবহন হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ