শেরপুরে বাসচাপায় সাবেক সেনাসদস্য নিহত, বিক্ষুব্ধ জনতার বাসে আগুন
Published: 15th, June 2025 GMT
শেরপুরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী সাবেক এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের ভাতশালা ইউনিয়নের বাঁশতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিহত সেনাসদস্যের নাম মজনু মিয়া। তিনি হাওড়া কামারবাড়ি গ্রামের সফর উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মজনু মিয়া মোটরসাইকেলে শেরপুর শহর থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। বাঁশতলা এলাকায় পৌঁছালে ‘সাম্মি ডিলাক্স’ নামের একটি বাস তাঁর মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এরপর উত্তেজিত এলাকাবাসী বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে আসে। তবে এলাকাবাসীর বাধার মুখে সেটি ফিরে যায়। এতে মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।