Prothomalo:
2025-08-01@02:00:47 GMT

তাজমহলের আদলে বাড়ি

Published: 16th, June 2025 GMT

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে তাজমহলের আদলে একটি বাড়ি তৈরি করেছেন একজন ব্যবসায়ী। সম্প্রতি বাড়িটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এটি শুধু নান্দনিক স্থাপত্যের জন্য পরিচিতি পায়নি; বাড়িটি তৈরির উদ্দেশ্য সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রিয়ম সরস্বত ইনস্টাগ্রামে বাড়িটির একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর মাধ্যমেই ব্যবসায়ী আনন্দ প্রকাশ চৌকসের মালিকানাধীন বিলাসবহুল মার্বেলের বাড়িটি সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে।

ভিডিওর শুরুতে সরস্বত বাড়ির মালিকের কাছে জানতে চান, এটি সত্যিই তাঁদের বাসভবন কি না এবং বাড়িটি আদৌ তাজমহলের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে কি না? জবাবে আনন্দ দম্পতি হাসিমুখে তাতে সম্মতি প্রকাশ করেন। এরপর ওই ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চান, বাড়িটি তাঁর স্ত্রীকে উৎসর্গ করা হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে, বাড়িটি তাঁকে (স্ত্রীকে) উৎসর্গ করা হয়েছে, এটা শতভাগ নিশ্চিত।

এরপর ওই ব্যবসায়ী ব্যাখ্যা করেন, মাকরানা মার্বেল দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। একই উপাদান দিয়ে আগ্রায় মোগল সম্রাট শাহজাহানের অমর কীর্তি তাজমহল তৈরি করা হয়েছিল।

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে সরস্বত লিখেছেন, মনোমুগ্ধকর এই বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কাছাকাছি অবস্থিত। ভালোবাসা

ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতীক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বাড়িটি। বাড়িটির ভেতরের মার্বেলের কাজ অনন্য। সবচেয়ে চমৎকার বিষয়, এটি একটি স্কুলের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে। স্কুলটি ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা করেছেন। অসাধারণ বাড়িটি মহৎ উদ্দেশ্যকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়িটি নির্মাণে প্রায় ২ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। আনন্দ প্রকাশের বাড়ির চারপাশে সব মিলিয়ে ৫০ একর জমি রয়েছে। বাড়িটিতে চারটি শয়নকক্ষ, একটি ধ্যানকক্ষ, একটি গ্রন্থাগার, খোদাই করা স্তম্ভ এবং খিলানযুক্ত দরজা রয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে ইতিমধ্যে ১ কোটি ৪৭ লাখের বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। লাইক দিয়েছেন ১৩ লাখের বেশি মানুষ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নান্দনিক বাড়িটি ও ওই দম্পতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘একটি স্কুল, স্মৃতিসৌধ ও একটি বার্তা—সবকিছু একসঙ্গে। অসাধারণ!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ভাবুন তো, আপনি এমন একটি স্কুলে বড় হচ্ছেন, যেখানকার চত্বরে একটি ছোট তাজমহল আছে।’

আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘কখনো কখনো কিছু রিল আপনার সামনে চলে আসে আর আপনার দিনটি উজ্জ্বল করে দেয়। এটাই সেই রিল.

..যেভাবে আংকেল ও তাঁর পরিবার বাড়িটি বর্ণনা করেছেন, সেটা খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটি মুহূর্ত আবেগ জড়ানো ছিল।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ই ব যবস ত জমহল কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমের টানে চীনা যুবকের বাংলাদেশে এসে বিয়ে

মাদারীপুরে মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের প্রেমের টানে চীনের নাগরিক শি তিয়ান জিং বাংলাদেশে এসেছেন। বিয়ে করে বর্তমানে মাদারীপুরে শশুরবাড়িতে আছেন। ভিনদেশি যুবককে দেখার জন্য ওই বাড়িতে মানুষ ভিড় করছেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর এলাকার বাসিন্দা সাইদুল হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৯)। সুমাইয়া মাদারীপুর শহরের সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তারা তিন বোন। সুমাইয়া বড়। মেঝ সাদিয়া আক্তার (১২) মাদ্রাসায় পড়ে। ছোট বোন আরিফা (৬)। 

চীনের সাংহাই শহরের সি জিং নিং এর ছেলে শি তিয়ান জিং (২৬)। তারা দুই ভাই। বড় শি তিয়ান জিং। তার চীনের সাংহাই শহরে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে। 

আরো পড়ুন:

‘একজন ছেলে মানুষ আমাদের পরিবারের বৌ হয়েছিল’

এক বিয়ের বরযাত্রী খেয়ে ফেলল অন্য বিয়ের খাবার

শি তিয়ান জিংকে টিকটকে দেখেন সুমাইয়া। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা আদান-প্রদান হয়। উভয়ই গুগলের মাধ্যমে লেখা অনুবাদ করে মনের ভাব আদান- প্রদান করেন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মাত্র চার মাসের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৪ জুলাই চীন থেকে বাংলাদেশ আসেন শি তিয়ান জিং। এরপর এক দিন ঢাকার একটি হোটেলে থাকেন। ২৬ জুলাই মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেচরের সুমাইয়ার বাড়িতে আসেন। 

সুমাইয়া, সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম ও তার দুইজন আত্মীয় মিলে ঢাকা থেকে শি তিয়ান জিংকে মাদারীপুরে নিয়ে আসেন। বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় মোবাইলে অনুবাদ করে কথা আদান-প্রদান করেন শি তিয়ান জিং। এরপর ২৭ জুলাই তারা বিয়ে করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সুমাইয়ার বাড়িতে মানুষ ভিড় করতে থাকে।  

সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘‘টিকটক দেখে আমি ওর ভক্ত হই। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা হয়। পরে দুজনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। মাত্র চার মাসের প্রেমের সূত্র ধরে চীন থেকে বাংলাদেশ আমার কাছে চলে আসবে, তা কখনো ভাবিনি। ও প্লেনে উঠার সময় বলেছে, আমি বাংলাদেশে আসছি। আমি বিশ্বাস করিনি। যখন ইন্ডিয়া এসে আমাকে জানায়, তখন বিশ্বাস করেছি।’’ 

সুমাইয়া আক্তার আরো বলেন, ‘‘ও ওর মা-বাবাকে আমার কথা বলেছে। তারাও মুসলিম। ওর মা বলেছেন, আমাকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে যেতে। তাই শি তিয়ান জিং বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করেছেন।’’ 

সুমাইয়া বলেন, ‘‘এরই মধ্যে পাসপোর্ট করতে দিয়েছি। শি তিয়ান জিং এক মাস বাংলাদেশে থাকবে। এর মধ্যে আমার কাগজপত্র রেডি করা হবে। তারপর ও আমাকে চীনে নিয়ে যাবে। আমিও চীনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’ 

শি তিয়ান জিং বলেন, ‘‘বাংলাদেশ আমার ভালো লেগেছে। তবে অনেক গরম। আর অনেক মানুষ আমাকে দেখতে আসে। তাই আমার ভয় লাগে। আমি ভালোবেসে চীন থেকে এখানে এসেছি। সুমাইয়াকে বিয়ে করেছি। এখন ওর কাগজপত্র রেডি করে চীনে নিয়ে যাবো। আমার পরিবার সব জানে। তারাই সুমাইয়াকে চীনে নিয়ে যেতে বলেছেন।’’ 

সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘শি তিয়ান জিং আমাদের এখানে আছে। ও খুব ভালো ছেলে। খুবই অমায়িক। কোনো অহংকার নেই। এক মাস থাকবে এবং আমার মেয়েকে নিয়ে যাবে। আমরা খুব খুশি।’’ 

পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল হাওলাদার জানান, প্রথমে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। পরে সামাজিকভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়। চীনে ওই ছেলের ব্যবসা আছে। কিছু দিনের মধ্যে সুমাইয়াকে চীনে নিয়ে যাবে। 

ঢাকা/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভিপিএনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল
  • রূপ নয়, সাহস দিয়ে জয় করা এক নায়িকা
  • টানা দুই জয়ের পর এবার হার বাংলাদেশের যুবাদের
  • ভারতের অর্থনীতি মৃত, ট্রাম্প ঠিকই বলেছেন: রাহুল
  • হেনরির ৬ উইকেটের পর দুই ওপেনারে নিউজিল্যান্ডের দিন
  • অসুখবিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না: ববিতা
  • নিশ্ছিদ্র দাপটে উরুগুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে ও অলিম্পিকে ব্রাজিল
  • যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
  • প্রেমের টানে চীনা যুবকের বাংলাদেশে এসে বিয়ে
  • আমাকে বিব্রত-বিরক্ত করে আপনাদের কী উপকার, প্রশ্ন এডলফের