Prothomalo:
2025-06-16@10:51:47 GMT

তাজমহলের আদলে বাড়ি

Published: 16th, June 2025 GMT

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে তাজমহলের আদলে একটি বাড়ি তৈরি করেছেন একজন ব্যবসায়ী। সম্প্রতি বাড়িটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এটি শুধু নান্দনিক স্থাপত্যের জন্য পরিচিতি পায়নি; বাড়িটি তৈরির উদ্দেশ্য সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রিয়ম সরস্বত ইনস্টাগ্রামে বাড়িটির একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর মাধ্যমেই ব্যবসায়ী আনন্দ প্রকাশ চৌকসের মালিকানাধীন বিলাসবহুল মার্বেলের বাড়িটি সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে।

ভিডিওর শুরুতে সরস্বত বাড়ির মালিকের কাছে জানতে চান, এটি সত্যিই তাঁদের বাসভবন কি না এবং বাড়িটি আদৌ তাজমহলের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে কি না? জবাবে আনন্দ দম্পতি হাসিমুখে তাতে সম্মতি প্রকাশ করেন। এরপর ওই ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চান, বাড়িটি তাঁর স্ত্রীকে উৎসর্গ করা হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে, বাড়িটি তাঁকে (স্ত্রীকে) উৎসর্গ করা হয়েছে, এটা শতভাগ নিশ্চিত।

এরপর ওই ব্যবসায়ী ব্যাখ্যা করেন, মাকরানা মার্বেল দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। একই উপাদান দিয়ে আগ্রায় মোগল সম্রাট শাহজাহানের অমর কীর্তি তাজমহল তৈরি করা হয়েছিল।

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে সরস্বত লিখেছেন, মনোমুগ্ধকর এই বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কাছাকাছি অবস্থিত। ভালোবাসা

ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতীক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বাড়িটি। বাড়িটির ভেতরের মার্বেলের কাজ অনন্য। সবচেয়ে চমৎকার বিষয়, এটি একটি স্কুলের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে। স্কুলটি ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা করেছেন। অসাধারণ বাড়িটি মহৎ উদ্দেশ্যকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়িটি নির্মাণে প্রায় ২ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। আনন্দ প্রকাশের বাড়ির চারপাশে সব মিলিয়ে ৫০ একর জমি রয়েছে। বাড়িটিতে চারটি শয়নকক্ষ, একটি ধ্যানকক্ষ, একটি গ্রন্থাগার, খোদাই করা স্তম্ভ এবং খিলানযুক্ত দরজা রয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে ইতিমধ্যে ১ কোটি ৪৭ লাখের বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। লাইক দিয়েছেন ১৩ লাখের বেশি মানুষ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নান্দনিক বাড়িটি ও ওই দম্পতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘একটি স্কুল, স্মৃতিসৌধ ও একটি বার্তা—সবকিছু একসঙ্গে। অসাধারণ!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ভাবুন তো, আপনি এমন একটি স্কুলে বড় হচ্ছেন, যেখানকার চত্বরে একটি ছোট তাজমহল আছে।’

আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘কখনো কখনো কিছু রিল আপনার সামনে চলে আসে আর আপনার দিনটি উজ্জ্বল করে দেয়। এটাই সেই রিল.

..যেভাবে আংকেল ও তাঁর পরিবার বাড়িটি বর্ণনা করেছেন, সেটা খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটি মুহূর্ত আবেগ জড়ানো ছিল।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ই ব যবস ত জমহল কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কমিটি নেই, সবাই নেতা

কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর। 
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি। 
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। 
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। 
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ। 
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব। 
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি। 
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা