অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে দুর্দান্ত শুরু পিএসজির
Published: 16th, June 2025 GMT
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শুরুতেই ইউরোপের দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ে বাজিমাত করেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে একপ্রকার বিধ্বস্ত করে ৪-০ গোলে জিতেছে ফরাসি জায়ান্টরা।
গত মাসে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর এটিই ছিল পিএসজির প্রথম ম্যাচ। তবে লম্বা বিরতির কোনো প্রভাবই দেখা যায়নি মাঠে। রোববার ঐতিহাসিক রোজ বোল স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
১৯ মিনিটে দূরপাল্লার দুর্দান্ত শটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন ফাবিয়ান রুইজ। বিরতির ঠিক আগে গ্রিজম্যানের সহজ সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর, সেই থেকেই দ্রুত কাউন্টার-অ্যাটাক সাজিয়ে ভিতিনহা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে একটু ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল অ্যাটলেটিকো। ৫৭ মিনিটে আলভারেজের শটে বল জালে জড়ালেও ভিএআরের সাহায্যে দেখা যায়, গোল হওয়ার আগে ফাউল করেছিলেন পিএসজির দেজিয়ের দুয়ে। ফলে গোল বাতিল হয়ে যায়। এরপরই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার ক্লেমেন্ট লেংলে।
১০ জনের দলে পরিণত হয়ে পুরোপুরি কোণঠাসা হয়ে পড়ে অ্যাটলেটিকো। ৮৭তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় সেনি মায়ুলু পিএসজির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে দক্ষিণ কোরিয়ান লি কাং-ইন ম্যাচের চতুর্থ গোল করেন।
আগামী বৃহস্পতিবার আবার রোজ বোল স্টেডিয়ামেই মাঠে নামবে পিএসজি। প্রতিপক্ষ ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফোগো। অন্যদিকে অ্যাটলেটিকো খেলবে এমএলএস ক্লাব সিয়াটল সাউন্ডার্সের বিপক্ষে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প প এসজ প এসজ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিচ্ছেদ কী বললেন আমির
বছর তিনেক আগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র বক্স অফিস ব্যর্থতার পর কার্যত লাপাত্তা হয়েছিলেন আমির খান। তবে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা নিজের নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’-এর প্রচারে আবার সরব এই বলিউড তারকা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
সব সাক্ষাৎকারেই ঘুরেফিরে এসেছে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ। রিনা দত্ত ও কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার টেকেনি। কিছুদিন আগেই গৌরি স্প্র্যাটের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি রাজ সামানির পডকাস্টে হাজির হয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা। অকপটে স্বীকার করেছেন, রিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত ছিল একেবারেই হঠকারী।
আমির খান জানান, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। জীবনে সবচেয়ে বড় কোনো আফসোস আছে কি না, এমন প্রশ্নে আমির বলেন, ‘ভুল তো অনেক করেছি। একটা নয়। রিনা আর আমি খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করে ফেলেছিলাম। আমি তখন ২১, ও ছিল ১৯। আসলে আমি যেদিন আইনিভাবে বিয়ে করতে পারতাম, সেদিনই করেছি; ১৮ এপ্রিল। তবে এটা ভাববেন না, আমি বলছি রিনাকে বিয়ে করাটা ভুল ছিল। আমি বলছি, সময়টা হয়তো সঠিক ছিল না। রিনার সঙ্গে আমার জীবনটা খুব ভালো কেটেছে। রিনা দারুণ একজন মানুষ। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসাও আছে। তবে আমি মনে করি না এত ছোট বয়সে কারও এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা–ও আবার এমন তাড়াহুড়া করে।’ তখনই অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন আমির, আর তাঁদের বিয়ের বিষয়টি একেবারে গোপন রেখেছিলেন দুজন।
পডকাস্টে আমির আরও বলেন, ‘এটা শুধু একটা উদাহরণ। বাস্তব জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার ইরা আর জুনাইদকে ওই বিয়ের মাধ্যমেই পেয়েছি। আমি ও রিনা ১৬ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছি। কেউ চাইলে একে ভুল বলতে পারেন, কিন্তু আমি মনে করি, ওটা না হলে আজ আমি এখানে থাকতাম না।’ আমির ও রিনার বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ নিয়েও কথা বলেন তিনি। ‘আমি তখন সিনেমায় ডুবে ছিলাম। সেটাই ছিল রেড ফ্ল্যাগ। আমি একপ্রকার কাজের নেশায় বুঁদ ছিলাম,’ বলেন আমির।
আমির খান। এএফপি