ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শুরুতেই ইউরোপের দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ে বাজিমাত করেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে একপ্রকার বিধ্বস্ত করে ৪-০ গোলে জিতেছে ফরাসি জায়ান্টরা। 

গত মাসে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর এটিই ছিল পিএসজির প্রথম ম্যাচ। তবে লম্বা বিরতির কোনো প্রভাবই দেখা যায়নি মাঠে। রোববার ঐতিহাসিক রোজ বোল স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

১৯ মিনিটে দূরপাল্লার দুর্দান্ত শটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন ফাবিয়ান রুইজ। বিরতির ঠিক আগে গ্রিজম্যানের সহজ সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর, সেই থেকেই দ্রুত কাউন্টার-অ্যাটাক সাজিয়ে ভিতিনহা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

দ্বিতীয়ার্ধে একটু ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল অ্যাটলেটিকো। ৫৭ মিনিটে আলভারেজের শটে বল জালে জড়ালেও ভিএআরের সাহায্যে দেখা যায়, গোল হওয়ার আগে ফাউল করেছিলেন পিএসজির দেজিয়ের দুয়ে। ফলে গোল বাতিল হয়ে যায়। এরপরই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার ক্লেমেন্ট লেংলে।

১০ জনের দলে পরিণত হয়ে পুরোপুরি কোণঠাসা হয়ে পড়ে অ্যাটলেটিকো। ৮৭তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় সেনি মায়ুলু পিএসজির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে দক্ষিণ কোরিয়ান লি কাং-ইন ম্যাচের চতুর্থ গোল করেন। 

আগামী বৃহস্পতিবার আবার রোজ বোল স্টেডিয়ামেই মাঠে নামবে পিএসজি। প্রতিপক্ষ ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফোগো। অন্যদিকে অ্যাটলেটিকো খেলবে এমএলএস ক্লাব সিয়াটল সাউন্ডার্সের বিপক্ষে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প প এসজ প এসজ র

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ