ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে পাঁচ নাটক
Published: 16th, June 2025 GMT
ঈদে নাটক নিয়ে সব সময়ই দর্শকদের আলাদা আগ্রহ থাকে। টেলিভিশনের পাশাপাশি ওটিটি প্লাটফর্মসহ বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে বেশ অনেক নাটক প্রকাশ পেয়েছে। দর্শক গত ঈদুল ফিতরে পারিবারিক গল্পের নাটক বেশি পছন্দ করলেও এবার গল্পের আধিক্য দেখা গেছে।
‘আশিকি’
ইমরোজ শাওন পরিচালিত নাটকটি প্রকাশ পায় ৮ মে। ইউটিউবে আপলোড হওয়া পর ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে নাটকটি ফারহান আহমেদ জোভান ও নাজনীন নীহা জুটির ‘আশিকি’ এখন পর্যন্ত ইউটিউবে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। কন্টেন্ট এর বিচারেও ট্রেন্ডিংয়ে নাটকটির স্থান প্রথম। ৮ দিনে (সোমবার বিকেল পর্যন্ত) নাটকটি দেখেছে এক কোটি ৪০ লাখ দর্শক।
‘হরবোলা’
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নির্মাতা জুবায়ের ইবনে বকরের ‘হরবোলা’। কনটেন্ট বিচারে এটির অবস্থান চার নম্বরে। লাঠিখেলা ও থ্রিলারে সমন্বয়ে এ নাটকে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর ও সুমনা ইয়াসমিন। নজর কেড়েছেন মীর রাব্বি। ১৩ জুন প্রকাশিত নাটকটি দুই দিনে দেখেছেন ২৬ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ।
‘ক্ষতিপূরণ’
ট্রেন্ডিংয়ের তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে পারিবারিক গল্পে নির্মিত মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ক্ষতিপূরণ’। কনটেন্ট বিচারে এটির অবস্থান সাত নম্বরে। ইয়াশ রোহান, মালাইকা চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, মনিরা মিঠু, রাশেদ মামুন অপু, সুষমা সরকার প্রমুখ। ৬ দিনে (সোমবার বিকেল পর্যন্ত) নাটকটি দেখেছে ৪৬ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ।
‘ঘ্রাণ’
নাটকে দিক থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়েরে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নির্মাতা মাশরিকুল আলমের ‘ঘ্রাণ’। এটি প্রকাশ পায় ১০ জুন। ৫ দিনে (সোমবার বিকেল পর্যন্ত) নাটকটি দেখেছে ৪৫ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। মায়ের জন্য শাড়ি কেনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় নাটকের গল্প। এতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, দিলারা জামান, শেলী আহসান, রোজী সিদ্দিকী, নাজনীন নীহা প্রমুখ।
‘কোটি টাকার চেয়ারম্যান’
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের পঞ্চম অবস্থানে আছে নির্মাতা মিতুল খানের ‘কোটি টাকার চেয়ারম্যান’। নির্বাচন ঘিরে গড়ে উঠেছে নাটকের গল্প। এছাড়া রাজনীতিতে অভিজ্ঞদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, এমনকি হঠাৎ করেই কি জনগণের পাশে থাকা যায়, এমন নানা প্রশ্ন কমেডির মধ্য দিয়ে নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। ৮ দিনে (সোমবার বিকেল পর্যন্ত) নাটকটি দেখেছেন ৬৪ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টক অবস থ ন প রক শ ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় গত চার দিনে ১২ শিশুর জামিন নামঞ্জুর
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন শিশু রয়েছে। এর মধ্যে গত চার দিনে ১২ শিশুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাত শিশুর জামিন আবেদনের শুনানি হয়। গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ আরাফাত হোসেন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে সোম ও মঙ্গলবার পাঁচ শিশুর জামিন আবেদন করা হয়। তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। ওই পাঁচজনের জামিন আবেদন করা হয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
কারাগার সূত্র জানায়, গত ১৬ জুলাই সংঘর্ষের পর ১৭ ও ১৮ জুলাই জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৮ শিশুকে আটক করে পুলিশ। ১৮ জুলাই তাদের আদালতে হাজির করে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২১ জুলাই তাদের যশোরের পুলেরহাট শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
আদালতের নথি অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া শিশুদের বয়স, ঠিকানা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ নেই। তবে গতকাল পর্যন্ত ১২ শিশুর নাম ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে চার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের সন্তানদের কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনগ্রেপ্তার হওয়া শিশুদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ২৭ জুলাই ২০২৫একজন শিশুর বাবা বলেন, ‘সংসারে অভাব–অনটন, নিজেরাই সংসার চালাইতে পারি না। আমার কষ্ট দেখে ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দেয়। সে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রমজান শেখ নামের একটা রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করে। কাজের সময় পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।’
আরেক শিশুর ভ্যানচালক বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, কোথাও কোনো কাইজের মধ্যে নেই। তিনডা ছেলে, বড়টা একটা মাদ্রাসার শিক্ষক। ছোট দুইডা এখনো পড়ে। যারে ধরছে, সে সবার ছোট। ওই দিন সকালে আমার মাদ্রাসায় গেছে, পরীক্ষা ছিল। পরে দুপুরের আগে আমি নিজে যাইয়ে নিয়ে আসছি। সেদিন বাড়িতেই ছিল। পরের দিনও সারা দিন বাড়ি ছিল, সেদিন তো কারফিউ ছিল। আসরের নামাজের পর আমার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে গেছে চটপটি খাইতে। পাশে মাদ্রাসার সামনেই চটপটির দোকান বসে। সেই হান দে ওরে ধইরে নিছে।’
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘ধরার ঘণ্টাখানেক পর থানা থেইকা ফোন দিছে, কয় ছেলে ধরা হইছে। আমরা থানায় গিয়া অনেক কইছি, ও তো কোথাও যায় না, কোনো গ্যাঞ্জামের ছেলে না। মাদ্রাসায় পড়ে। কিন্তু কেউ কিছুই শুনল না। ছেলেরে ছাড়ায় আনতে অনেক জায়গায় দৌড়াইছি।’ তিনি জানান, এ ঘটনার পর থেকে তাঁদের প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
এ ছাড়া জামিনের আশ্বাস দিয়ে কয়েকজন লোক তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন একজন অভিভাবক।
আরও পড়ুনগোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা, আসামি ৪৭৭ জন৩১ জুলাই ২০২৫গ্রেপ্তার এক শিশুর আইনজীবী ফিরোজা বেগম বলেন, ১৬ জুলাই সহিংসতার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এই শিশুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ ধারায় দ্রুত তদন্ত করে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি তৌফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুরা অল্প সময় আগে গ্রেপ্তার হয়েছে, এখনো তদন্ত চলছে। তাই হয়তো বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এ মামলায় এখনো কারও জামিন হয়নি।
আরও পড়ুনগোপালগঞ্জে সংঘাতের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট, নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন ১৮ জুলাই ২০২৫