ঈদে নাটক নিয়ে সব সময়ই দর্শকদের আলাদা আগ্রহ থাকে। টেলিভিশনের পাশাপাশি ওটিটি প্লাটফর্মসহ বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে বেশ অনেক নাটক প্রকাশ পেয়েছে। দর্শক গত ঈদুল ফিতরে পারিবারিক গল্পের নাটক বেশি পছন্দ করলেও এবার গল্পের আধিক্য দেখা গেছে।

‘আশিকি’
ইমরোজ শাওন পরিচালিত নাটকটি প্রকাশ পায় ৮ মে। ইউটিউবে আপলোড হওয়া পর ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে নাটকটি ফারহান আহমেদ জোভান ও নাজনীন নীহা জুটির ‘আশিকি’ এখন পর্যন্ত ইউটিউবে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। কন্টেন্ট এর বিচারেও ট্রেন্ডিংয়ে নাটকটির স্থান প্রথম। ৮ দিনে (সোমবার বিকেল পর্যন্ত) নাটকটি দেখেছে এক কোটি ৪০ লাখ দর্শক।

‘হরবোলা’
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নির্মাতা জুবায়ের ইবনে বকরের ‘হরবোলা’। কনটেন্ট বিচারে এটির অবস্থান চার নম্বরে। লাঠিখেলা ও থ্রিলারে সমন্বয়ে এ নাটকে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর ও সুমনা ইয়াসমিন। নজর কেড়েছেন মীর রাব্বি। ১৩ জুন প্রকাশিত নাটকটি দুই দিনে দেখেছেন ২৬ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ।

‘ক্ষতিপূরণ’
ট্রেন্ডিংয়ের তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে পারিবারিক গল্পে নির্মিত মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ক্ষতিপূরণ’। কনটেন্ট বিচারে এটির অবস্থান সাত নম্বরে। ইয়াশ রোহান, মালাইকা চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, মনিরা মিঠু, রাশেদ মামুন অপু, সুষমা সরকার প্রমুখ। ৬ দিনে (সোমবার বিকেল পর্যন্ত) নাটকটি দেখেছে ৪৬ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ।

‘ঘ্রাণ’
নাটকে দিক থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়েরে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নির্মাতা মাশরিকুল আলমের ‘ঘ্রাণ’। এটি প্রকাশ পায় ১০ জুন। ৫ দিনে (সোমবার বিকেল পর্যন্ত) নাটকটি দেখেছে ৪৫ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। মায়ের জন্য শাড়ি কেনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় নাটকের গল্প। এতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, দিলারা জামান, শেলী আহসান, রোজী সিদ্দিকী, নাজনীন নীহা প্রমুখ। 

‘কোটি টাকার চেয়ারম্যান’
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের পঞ্চম অবস্থানে আছে নির্মাতা মিতুল খানের ‘কোটি টাকার চেয়ারম্যান’। নির্বাচন ঘিরে গড়ে উঠেছে নাটকের গল্প। এছাড়া রাজনীতিতে অভিজ্ঞদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, এমনকি হঠাৎ করেই কি জনগণের পাশে থাকা যায়, এমন নানা প্রশ্ন কমেডির মধ্য দিয়ে নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। ৮ দিনে (সোমবার বিকেল পর্যন্ত) নাটকটি দেখেছেন ৬৪ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন টক অবস থ ন প রক শ ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ