মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে নিখোঁজ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ।

মৃত ওই যাত্রীর নাম লোকমান হোসেন (৩৭)। তিনি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত রোববার রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লোকমান হোসেন লঞ্চে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। যাত্রাবিরতির সময় মুন্সিগঞ্জে লঞ্চ থেকে নামার পর নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন লোকমান।

মুক্তারপুর নৌ পুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে লঞ্চঘাটের ২০০ মিটার দূরে মোল্লাপাড়া এলাকায় নদীতে লাশটি ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন শেষে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে লোকমান ঢাকার কর্মস্থলে ফিরছিলেন। গত রোববার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে থামে। ওই সময় লোকমান লঞ্চঘাটের পন্টুনে নেমে ঘোরাঘুরি করেন। পরে পন্টুন থেকে লঞ্চে ওঠার সময় তিনি নদীতে পড়ে যান। তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নৌ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গতকাল সকাল নয়টা থেকে সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালান নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর যৌথ ডুবুরি দলের সদস্যরা। তবে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে সেদিন সন্ধানে পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল কম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।

মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।

পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ