চট্টগ্রামে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে ফিরলেন ৪১৩ হজযাত্রী
Published: 17th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট আজ মঙ্গলবার সকালে অবতরণ করেছে। সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি ৪১৩ জন হজযাত্রী নিয়ে অবতরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল।
বিমানবন্দরে অবতরণের পর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর হজযাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা, বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জেলা ব্যবস্থাপক, স্টেশন ম্যানেজার উপস্থিত ছিলেন।
এবার বাংলাদেশ থেকে ৮৬ হাজার ৯৫৮ হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে গেছেন। ২২২টি ফিরতি ফ্লাইটে তাঁরা দেশে ফিরবেন। এর আগে হজ ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয় গত ২৯ এপ্রিল। সর্বশেষ ফ্লাইটটি ১ জুন বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যায়। চট্টগ্রাম থেকে এবার ৫ হাজার ১৮৮ জন যাত্রী হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাত্রা করেন।
১০ জুন হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এসভি-৩৮০৩ যোগে এদিন সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে হজযাত্রীরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। মাসব্যাপী প্রত্যাবর্তনের প্রথম দিনে প্রথম ফ্লাইটে ৩৬৯ হজযাত্রী দেশে ফেরেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হজয ত র ফ ল ইট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রামে বসে ড্রোন বানান তরুণ আশির উদ্দিন
ছয় কক্ষের পুরোনো একটি একতলা ঘর। ঘরের পেছনের দিকের ১৫ বর্গফুটের একটি কক্ষ। সেই কক্ষজুড়ে ছড়িয়ে আছে উড়োজাহাজ ও ড্রোনের নানা আদল, বৈদ্যুতিক ডিভাইস ও তার। আছে ল্যাপটপ ও সাদা খাতা। সেই সাদা খাতায় আবার নানা নকশা আঁকা। কক্ষটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ল্যাব’।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একেবারে দক্ষিণে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পুঁইছড়ি গ্রামে অবস্থিত এই ল্যাব স্থানীয় তরুণ আশির উদ্দিনের। এই ল্যাব থেকেই একের পর এক ড্রোন বানিয়ে তাক লাগাচ্ছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি উড়োজাহাজের নমুনা ও ২০ থেকে ২৫টি ড্রোন তৈরি করেছেন আশির উদ্দিন। সব কটিই সফলভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে তিন থেকে চার লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগেআশির উদ্দিন২০১৫ সালে এসএসসি পাস করেন আশির। এরপর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করেন। আশির জানান, এসএসসি শেষ করার পর শখের বশে মোটর দিয়ে খেলনা নৌকা বানানো শুরু করেন তিনি। একদিন ছাদে বসে নৌকা বানানোর সময় দেখেন মাথার ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ যাচ্ছে। তখনই এর আদলে ছোট উড়োজাহাজ বানানোর কথা মাথায় আসে। জানান, এরপর অত্যাধুনিক সব উড়োজাহাজের নমুনা তৈরি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুরু করেন ড্রোন বানানো। এলাকার আকাশেই এসবের উড্ডয়ন ও অবতরণের পরীক্ষা করা হয়। তাঁর নির্মাণ করা ড্রোন গোয়েন্দা নজরদারি, যুদ্ধসহ নানা কাজে ব্যবহার করা যায় বলে জানান আশির।
আশির উদ্দিন বলেন, ‘এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে।’
নিজের ল্যাবে তৈরি করা একটি ড্রোন নিয়ে আশির উদ্দিন