ফের এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজে ত্রুটি, কলকাতায় জরুরি অবতরণ
Published: 17th, June 2025 GMT
মাত্র ৩২ সেকেন্ডের বেশি আকাশে উড়তে পারেনি লন্ডনগামী উড়োজাহাজ। এয়ার ইন্ডিয়ার বি ৭৮৭ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত পাইলট-ক্রুসহ ২৪১ যাত্রী প্রাণ হারায়। উড়োজাহাজটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে তদন্ত চলছে। এখনও সরানো হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ। এরই মধ্যে আবারও ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলো এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজে।
জানা যায়, সোমবার মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৮০ উড়োজাহাজ। জানা যায়, সান ফ্রান্সিসকো থেকে কলকাতা হয়ে মুম্বই যাচ্ছিল এই উড়োজাহাজটি। কিন্তু কলকাতার কাছে এসেই ধরা পড়ে যান্ত্রিক ত্রুটি। দ্রুত অবতরণ করে কলকাতা বিমানবন্দরে। দীর্ঘ সময় বিমানেই বসে থাকেন যাত্রীরা। সকাল ৫টা ২০ মিনিটে বিমান থেকে নেমে যেতে বলা হয় যাত্রীদের। এরপর লাউঞ্জে চলে যান তারা। সব যাত্রী নিরাপদে আছেন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
বারবার উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ার ঘটনায় আশঙ্কার মেঘ দেখছেন যাত্রীরা। কয়েকদিন আগেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ কলকাতা থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার পথে বিভ্রাটের মুখে পড়ে। বে থেকে রানওয়ের দিকে গিয়েও আবার ফিরে আসে। পরিস্থিতি এমন হয় যে যাত্রীদের নামিয়ে অন্য বিমানে তুলে দেওয় হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রামে বসে ড্রোন বানান তরুণ আশির উদ্দিন
ছয় কক্ষের পুরোনো একটি একতলা ঘর। ঘরের পেছনের দিকের ১৫ বর্গফুটের একটি কক্ষ। সেই কক্ষজুড়ে ছড়িয়ে আছে উড়োজাহাজ ও ড্রোনের নানা আদল, বৈদ্যুতিক ডিভাইস ও তার। আছে ল্যাপটপ ও সাদা খাতা। সেই সাদা খাতায় আবার নানা নকশা আঁকা। কক্ষটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ল্যাব’।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একেবারে দক্ষিণে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পুঁইছড়ি গ্রামে অবস্থিত এই ল্যাব স্থানীয় তরুণ আশির উদ্দিনের। এই ল্যাব থেকেই একের পর এক ড্রোন বানিয়ে তাক লাগাচ্ছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি উড়োজাহাজের নমুনা ও ২০ থেকে ২৫টি ড্রোন তৈরি করেছেন আশির উদ্দিন। সব কটিই সফলভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে তিন থেকে চার লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগেআশির উদ্দিন২০১৫ সালে এসএসসি পাস করেন আশির। এরপর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করেন। আশির জানান, এসএসসি শেষ করার পর শখের বশে মোটর দিয়ে খেলনা নৌকা বানানো শুরু করেন তিনি। একদিন ছাদে বসে নৌকা বানানোর সময় দেখেন মাথার ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ যাচ্ছে। তখনই এর আদলে ছোট উড়োজাহাজ বানানোর কথা মাথায় আসে। জানান, এরপর অত্যাধুনিক সব উড়োজাহাজের নমুনা তৈরি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুরু করেন ড্রোন বানানো। এলাকার আকাশেই এসবের উড্ডয়ন ও অবতরণের পরীক্ষা করা হয়। তাঁর নির্মাণ করা ড্রোন গোয়েন্দা নজরদারি, যুদ্ধসহ নানা কাজে ব্যবহার করা যায় বলে জানান আশির।
আশির উদ্দিন বলেন, ‘এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে।’
নিজের ল্যাবে তৈরি করা একটি ড্রোন নিয়ে আশির উদ্দিন