মাত্র ৩২ সেকেন্ডের বেশি আকাশে উড়তে পারেনি লন্ডনগামী উড়োজাহাজ। এয়ার ইন্ডিয়ার বি ৭৮৭ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত পাইলট-ক্রুসহ ২৪১ যাত্রী প্রাণ হারায়। উড়োজাহাজটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে তদন্ত চলছে। এখনও সরানো হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ। এরই মধ্যে আবারও ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলো এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজে।

জানা যায়, সোমবার মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৮০ উড়োজাহাজ। জানা যায়, সান ফ্রান্সিসকো থেকে কলকাতা হয়ে মুম্বই যাচ্ছিল এই উড়োজাহাজটি। কিন্তু কলকাতার কাছে এসেই ধরা পড়ে যান্ত্রিক ত্রুটি। দ্রুত অবতরণ করে কলকাতা বিমানবন্দরে। দীর্ঘ সময় বিমানেই বসে থাকেন যাত্রীরা। সকাল ৫টা ২০ মিনিটে বিমান থেকে নেমে যেতে বলা হয় যাত্রীদের। এরপর লাউঞ্জে চলে যান তারা। সব যাত্রী নিরাপদে আছেন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

বারবার উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ার ঘটনায় আশঙ্কার মেঘ দেখছেন যাত্রীরা। কয়েকদিন আগেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ কলকাতা থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার পথে বিভ্রাটের মুখে পড়ে। বে থেকে রানওয়ের দিকে গিয়েও আবার ফিরে আসে। পরিস্থিতি এমন হয় যে যাত্রীদের নামিয়ে অন্য বিমানে তুলে দেওয় হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ 

সাগরে এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৭০ মণ ইলিশ মাছ। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এই ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ আড়তে এই মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে ওঠানো হয়। মাছগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ টাকায়। ট্রলারটিতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ ইলিশ তুলে দেওয়া হয়। 

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সূত্রে জানাগেছে, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সাইফ কোম্পানির এফবি সাফওয়ান-৩ মাছ ধরার ট্রলার গত ২৯ অক্টোবর সকালে পাথরঘাটা থেকে ১৯ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। 

ওই দিন বিকেলে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে জাল ফেলার পরই রাতে মাছগুলো ধরা পড়ে। ট্রলারটিতে জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ তুলে দেওয়া হয়। জেলেরা বলছে, সব মিলিয়ে ১৭০ থেকে ১৭৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। 

এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের মাঝি রুবেল হোসেন বলেন, “আমরা ২৯ অক্টোবর সাগরে যাই। বিকেলে লম্বা জাল (ইলিশ জাল) ফেলার পর রাত আটটার দিকে জালের অবস্থা দেখে বুঝতে পারি প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। রাত আটটা থেকে জাল টানা শুরু করে পরদিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জাল ট্রলারে উঠানো শেষ হয়।”

সাইফ ফিশিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম জানান, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছিল। ইলিশ মৌসুমে কাঙ্খিত মাছ ধরা না পড়ায় আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। সাগরে অবৈধ ট্রলিং বোট বন্ধ করা হলে জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে। 

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, “মাছগুলো আমার আড়তে বিক্রি হয়েছে। ইলিশের প্রকারভেদ ২৭ হাজার, ২২ হাজার, ১২ হাজার টাকায় মণ দরে সব মিলিয়ে ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় এই মাছ বিক্রি হয়।” 

বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সাগরে গিয়েই মাছ পেয়েছে- এটা খুশির খবর। তবে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি। হঠাৎ এক ট্রলারে ১৪০ মণ ইলিশ পাওয়ায় আমরাও খুশি।”

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন রাইজিংবিডিকে বলেন, “মা ইলিশ সংরক্ষণের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে।”

তিনি বলেন, “জেলেরা সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মানলে এবং অবৈধ জাল বন্ধ তাদের জেলেদের সুদিন ফিরবে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাগরে এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ