রাশিয়ার কাজান উৎসবে বাংলাদেশের ‘দ্য পেয়ার অব হোয়াইট পিজন্স’
Published: 19th, June 2025 GMT
রাশিয়ার কাজান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২১তম আসরের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের যশোরের চলচ্চিত্র ‘দ্য পেয়ার অব হোয়াইট পিজন্স’। মঙ্গলবার বিকেলে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগসহ উৎসবের বিভিন্ন বিভাগের ছবির নাম ঘোষণা করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা শাহরিয়ার আজাদ সৌমিক। সিনেমাটি প্রযোজনা করেন ‘আদিম’খ্যাত নির্মাতা যুবরাজ শামীম।
উৎসবের ২১তম আসর শুরু হচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের পর্দা নামবে ৯ সেপ্টেম্বর। উৎসবটির শর্ট ফিল্ম বিভাগে বাংলাদেশের ‘দ্য পেয়ার অব হোয়াইট পিজন্স’ ছাড়া থাকছে সিরিয়া, রাশিয়া, ইরান, মিশর, কিরগিজস্তান, তুর্কির এবং চায়নাসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১০ সিনেমা।
‘দ্য পেয়ার অব হোয়াইট পিজন্স’ নির্মাতা শাহরিয়ার আজাদ সৌমিকের প্রথম নির্মাণ। উৎসবে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরের শুরুর সময়ে রাশিয়ান প্রজাতন্ত্র তাতারস্তানের রাজধানী কাজান শহরে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান নির্মাতা। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উৎসবের পোস্টার শেয়ার করেছেন তিনি।
সিনেমাটির পটভূমি নিয়ে শাহরিয়ার আজাদ সৌমিক বলেন, আমার বেড়ে ওঠা যশোরের ঝিকরগাছা এলাকায়। এই সিনেমা শৈশবে ফেলে আসা একান্ত ব্যক্তিগত কিছু স্মৃতির সমষ্টি। সিনেমাটি রুপকথার আদলে নিজের শৈশবের একটা জাক্সটাপজিশন বলা যেতে পারে। সিনেমাটিতে যশোরের ল্যান্ডস্কেপ, সেখানের মানুষের জীবনযাত্রা এবং কমপ্লেক্স লেয়ার্ড ইমোশন তুলে আনা হয়েছে।
‘দ্য পেয়ার অব হোয়াইট পিজন্স’ সিনেমাটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশু শিল্পি মানিক দাস। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন এস কে শাহরিয়ার হাবীব এবং এম ডি শাহীন হোসেন।
সিনেমার অভিনেতাসহ সকল কলাকুশলী নবাগত। সম্পূর্ণ ইন্ডিপেন্ডেন্ট এবং মিনিমালিস্টিক এপ্রোচে তোলা হয়েছে এই সিনেমা। ছবিটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন শোয়ায়েব মোহাম্মদ জাহেদি শামস। পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনী ও চিত্রনাট্য রচনা এবং সম্পাদনার কাজ করেছেন নির্মাতা নিজেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উৎসব উৎসব র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে পোশাক কারখানা
আগামীকাল ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে।
পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক সমিতি-বিজিএমইএ তাদের সদস্যদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য এই দিনটি সাধারণ ছুটি হিসেবে পালন করার জন্য।
বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ছুটির ঘোষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১১৮ এবং শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ১১০ মোতাবেক প্রতি বছর বছরের শুরুতে ১১ দিন উৎসব ছুটি নির্ধারণ করা হয়। তবে সরকার বছরের মাঝামাঝি সময়ে ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় উক্ত ছুটি উৎসব ছুটির অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাই শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানাগুলোর জন্য উক্ত ছুটি বাধ্যতামূলক নয়। তবুও, বিজিএমইএ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সকল পোশাক শিল্প কারখানাগুলোকে সাধারণ ছুটি হিসেবে বন্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে।
গত ২ জুলাই সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস-আদালতে ছুটি নির্ধারণ করে।
ঢাকা/নাজমুল/ইভা