কার্লোভি ভ্যারি উৎসবে বাংলাদেশের ‘বালুর নগরীতে’, সংস্কৃতি উপদেষ্টার শুভকামনা
Published: 19th, June 2025 GMT
বাংলাদেশি নির্মাতা মেহেদী হাসান পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বালুর নগরীতে’ জায়গা পেয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের মর্যাদাপূর্ণ ৫৯তম কার্লোভি ভ্যারি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রোক্সিমা প্রতিযোগিতা বিভাগে।
গতকাল সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী চলচ্চিত্রটির অভিনেতা মোস্তফা মন্ওয়ার ও সাউন্ড ডিজাইনার অরণ্যক পৃথিবীকে মন্ত্রণালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
দেশের তরুণ নির্মাতার এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকে মন্ত্রণালয় একটি গর্বের মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করে। উৎসবে বাংলাদেশ থেকে সিনেমাটির একটি দল অংশ নিচ্ছে। তাদের এই সাফল্যকে সম্মান জানাতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় দলের একজনের বিমান খরচ বহন করবে বলে উপদেষ্টা ঘোষণা করেন ও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, যারাই বাংলাদেশের বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরবে বা স্বীকৃতি অর্জন করবে, তাদের এভাবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় অনুপ্রাণিত করবে। মিউজিক, সিনেমা, ফটোগ্রাফি, থিয়েটার, আর্কিটেকচারসহ সবক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য হবে।
উৎসবে প্রিমিয়ারের আগেই সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী বিপণনের (বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড ব্যতীত) জন্য স্বত্ব কিনে নিয়েছে ব্যাংককভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিক্রয় সংস্থা ডাইভার্সন।
খনা টকিজ প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে রুবাইয়াত হোসেন ও আদনান ইমতিয়াজ আহমেদের প্রযোজনায় নির্মিত এবং সিনেমা কোকনের সহ-সহযোগিতায় চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।
এর আগে কান চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘আলী’র নির্মাতা আদনান আল রাজীবসহ দুজনকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সম্মাননা জানিয়ে প্যারিস যাত্রার দুটি বিমান টিকিট দেওয়া হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।