বিমানবাহিনীর ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্স সম্পন্ন করলেন ১৬ কর্মকর্তা
Published: 19th, June 2025 GMT
বিমানবাহিনীর ৬৫তম ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্স সম্পন্ন করেছেন ১৬ প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা। বগুড়ার আরুলিয়া এয়ারফিল্ডের বিমানবাহিনী ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস স্কুলে এই কর্মকর্তাদের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সনদ বিতরণ করা হয়। সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
বিমানবাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তারা উড্ডয়ন প্রশিক্ষকের মতো একটি সম্মানিত দলের অন্তর্ভুক্ত হলেন। যা বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষতার সঙ্গে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানবাহিনীর ১৫ জন এবং নৌবাহিনীর ১ জন কর্মকর্তা ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্সের সনদ গ্রহণ করেন। ৬৫তম ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্সের স্কোয়াড্রন লিডার এ কে এম শওকত উল্লাহ সামিও সার্বিকভাবে চৌকস প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হয়ে ‘মফিজ ট্রফি’ অর্জন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস স্কুলের অধিনায়ক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত কোর্স সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান, বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল সৈয়দ সাঈদুর রহমানসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনা ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছে: দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছে। চোরাগোপ্তা হামলার পরিকল্পনা করছে।”
জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতীকী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “তারা যদি আবার ষড়যন্ত্র করে, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ আর কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। সম্মিলিতভাবে আবার তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ নির্বাচনের প্রত্যাশায় দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে অনেক তরুণ প্রাণ ঝরে গেছে, লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় মানুষ নির্বাসিত জীবনযাপন করছে।”
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “যদি নির্বাচনের ঘোষণা আসে, তাহলে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে।”
তিনি বলেন, “আগামী দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসবেন এবং জনগণের ওপর নির্ভর করে দেশকে এগিয়ে নেবেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়। আরো বক্তব্য রাখেন—বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, প্রিন্সিপাল শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক,মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দলের নেতা আব্দুর রাজী, ছাত্রদলের নেতা শামীম আখন্দ প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/রফিক