সিটি ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক বা বোনাস লভ্যাংশ। আজ রোববার ব্যাংকের ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। সিটি ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার। এতে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ; পরিচালক রুবেল আজিজ, হোসেন মেহমুদ, সৈয়দা শায়রীন আজিজ, সাভেরা এইচ মাহমুদ ও রেবেকা ব্রোসন্যান; স্বতন্ত্র পরিচালক মতিউল ইসলাম নওশাদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর আরেফিন, কোম্পানি সচিব মো.

কাফি খান প্রমুখ অংশ নেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এজিএমে শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশের পাশাপাশি ব্যাংকের ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করেন।

চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, ২০২৪ সালে সিটি ব্যাংক ১ হাজার ১৪ কোটি টাকার সমন্বিত কর-পরবর্তী মুনাফা অর্জন করেছে, যা এর আগের বছরের ৬৩৮ কোটি টাকার চেয়ে ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিবেশেও সিটি ব্যাংক দৃঢ়তা ও গতিশীলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।’

সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন প্রতিষ্ঠানের সার্বিক চিত্র শেয়ারহোল্ডারদের সামনে তুলে ধরে তাঁদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালে আমরা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব দিয়েছি। একাধিক ডিজিটাল ফার্স্ট উদ্যোগ চালু করেছি, রিটেইল ও এসএমই খাতে বৈচিত্র্য বাড়িয়েছি। সেই সঙ্গে সম্পদের গুণগত মান বজায় রেখেছি। চলতি ২০২৫ সালে আমরা সম্প্রসারণ, উদ্ভাবন ও গ্রাহক–সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আইএমএফের ঋণের অর্থ এল, রিজার্ভ বাড়ল

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি থেকে দুই কিস্তির অর্থ ১৩৪ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ২৬ জুন বাংলাদেশের হিসাবে এ অর্থ জমা হয়েছে। এর ফলে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সেদিন রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। আর ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রবাসীরা বৈধ পথে আয় পাঠানো বাড়িয়েছেন। এই বাড়তি প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সরে এসেছে। ১০ মাস ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না। এর মধ্যে দেশের ব্যাংক ও রাজস্ব খাত সংস্কার, বাজেট সহায়তা ও ঋণ হিসেবে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ দেশে আসছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। এসব কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়েছে।

এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার জাপানের ৪২ কোটি ডলার ঋণের অর্থ এসেছে, যা এখন রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে। দেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বিবেচনায় আইএমএফ আরও ৯০ কোটি ডলার ঋণ দেবে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান ও ওপেক ফান্ড থেকে আরও ১০০ কোটি ডলার ঋণ আসবে, যা চলতি মাসের মধ্যে রিজার্ভের হিসাবে যুক্ত হবে। এতে চলতি মাস শেষে মোট রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এদিকে গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ২৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। ফলে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার আয় বেশি এসেছে। এদিকে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ শতাংশ। ফলে আমদানি ৫ শতাংশের মতো বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে।

২০২৪ সালের ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। তখন বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্বিতীয় ধাপে জগন্নাথের ৫০০ ছাত্রের আবাসনের ব্যবস্থা করবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
  • রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম 
  • ঢাবিতে নবীনদের আবাসন সংকট নিরসনে ছাত্রশিবিরের ৪ দাবি
  • জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে সাবেক সিইসি
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজে ভর্তি, এসএসসি–এইচএসসিতে জিপিএ ৬.৫০ হলে আবেদন
  • আইএমএফের ঋণের অর্থ এল, রিজার্ভ বাড়ল
  • কোহলি, রোনালদো, মেসি—প্রতিটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কে কত টাকা পান
  • যমুনা ব্যাংকের ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
  • সাগরে বেড়েছে পানির উচ্চতা কাজে আসছে না পুরোনো বাঁধ